স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নাকি ভ্যাকসিন, কোনটা বেশি কার্যকরী

দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিন ড্রাইভ। মাস ভ্যাকসিনেশনের জেরে এখনও পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৫ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী। তবে একটা প্রশ্ন সবার মনেই রয়েছে সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাকি ভ্যাকসিন নিয়ে তৈরি করা ইমিউনিটি, কোনটা বেশি কার্যকরী ও নিরাপদ। এই প্রতিবেদনে রইল সেই তথ্য।

তবে একটি বিষয় চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কিন্তু সংক্রমণের ভয় থাকবে। কারণ এই ভ্যাকসিন রোগটিকে মারণ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে, সংক্রমণ আটকাবে না। জেনে নেওয়া যাক করোনা ভ্যাকসিন কতদিন সুরক্ষিত রাখবে মানুষকে।

গবেষকদের প্রাথমিক আলোচ্য বিষয় মানব শরীরের বি সেলগুলি। কোনও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন ভ্যাকসিনের সংস্পর্শে আসে, তখন দুই ধরণের শ্বেত রক্ত কণিকাকে সক্রিয় করে। প্রথমটি হল প্লাজমা বি সেল, যা প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। এই বি সেল বেশিদিন বাঁচে না। তাই দ্বিতীয় ডোজ তাড়াতাড়ি না নিলে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা দ্রুত শেষ হয়ে যায়।

দ্বিতীয় শ্বেতকরক্ত কণিকা হল টি সেল। এই টি সেল জীবাণু নষ্ট করার কাজ করে। শরীর বিশেষে সারা জীবন ধরে টি সেল কাজ করতে পারে। কিন্তু ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না নিলে এর কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। তাই ভ্যাকসিন নিলে টি সেল তৈরি হতে থাকে। যা শরীরের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী।

 

Latest articles

Related articles