উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৬ কোটি টাকায় নির্মিত আলিয়ার স্টাডি সেন্টারের সাতুলিয়া শাখা

ভাঙড়ের সাতুলিয়াতে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হল আলিয়া স্টাডি সেন্টারের নতুন ভবন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ভবনটি। উপকৃত হবেন ভাঙড় এলাকার মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

স্টাডি সেন্টারটি ৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। অর্থ যুগিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর। চারতলা বিশিষ্ট নতুন ভবনটিতে রয়েছে ২৫ টি হল। নব নির্মিত ভবনের পোশাকি নাম ‘অ্যানেক্স বিল্ডিং’। এখানে একই সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাঠ নিতে পারবে। আগে এই সংখ্যা ছিল দেড় হাজার।

জানা গেছে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। প্রায় ৩ বছর পর ২০২০ সালে কাজ সম্পন্ন হয়। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়নি। খুব শ্রীঘ্রই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, এমনটাই জানালেন সাতুলিয়া স্টাডি সেন্টারের শিক্ষক আব্দুল মোমেন সাহেব।

তবে কামিলেল জন্য আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় নি। ফাজিলের শিক্ষক দিয়েই আপাতত পঠণপাঠণ চলছে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ৭ জন শিক্ষক ও প্রায় ১২৫ জন পড়ুয়া পাঠ নিচ্ছে।

এখানে সাম্মানিক থিয়োলজি বিষয়ে পড়ার সুযোগ থাকছে। ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে পড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। ফলে ভাঙড়ের মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ঘরের কাছ থেকেই পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে। আর দূরে যেতে হবে না, তাই বিশেষভাবে খুশি মেয়েরা বা তার অভিভাবকরা।

ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের পর ভাঙড় পেল আলিয়া ইউনিভার্সিটির স্টাডি সেন্টার। শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘অশান্ত’ ভাঙড়ের গায়ে যুক্ত হল নতুন পালক। পরবর্তীতে তাহলে কোন দিকে এগোবে ভাঙড়? রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সরিয়ে, অপবাদ ঘুচিয়ে, তাহলে সুনাম ফিরবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৌলতে? তেমনটাই কিন্তু প্রত্যাশা করছেন বিশিষ্ট জনেরা।

স্টাডি সেন্টারের সুপার শেখ গোলাম মঈনুদ্দিন বলেন, “২০১৫ সাল থেকে আমরা স্টাডি সেন্টারের দাবী জানিয়ে আসছিলাম।

অবশেষে আমরা তা পেয়েছি।অল্প দিনের মধ্যেই ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। যারা দূরত্ব অথবা দারীদ্রতার কারণে পড়াশুনা করতে পারছিলেন না, তাদের পড়াশোনা সুনিশ্চিত করবে সাতুলিয়া স্টাডি সেন্টার।”

Latest articles

Related articles