দলীয় সাংসদ শতাব্দী রায়ের গোঁসা আপাতত শান্ত। তিনি দলত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েও থেকে গিয়েছেন। উল্টে পুরষ্কার হিসেবে পেয়েছেন রাজ্য কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব। শতাব্দীর গোঁসা ঠারে ঠোরে গিয়ে পড়েছিল তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপরেই।
কোনওরকমে সেসব সামাল দিয়েছেন নেত্রী। এদিকে বিজেপি ও তৃণমূল দলবদলের হিড়িকে বীরভূম রাঙামাটির রাজনীতিতে নতুন করে সিপিআইএম জমি খুঁজতে মরিয়া। বৃহস্পতিবার জেলার রাজনৈতিক সংঘাতপূর্ণ এলাকা নানুরে বাম বাইক মিছিল ঘিরে আরও সরগরম হলো পরিস্থিতি।
জেলা সিপিআইএম সূত্রে খবর, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে হবে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থনে জমায়েত। এই সমাবেশে থাকছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সমাবেশ সফল করতে চলছে মিছিল। নানুর থেকে বাইক মিছিল তারই অংশ।
বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন সিপিআইএম শীর্ষ নেতা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ। ফরওয়ার্ড ব্লকের বাংলা কমিটির সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। জেলা
বামফ্রন্ট জানিয়েছে, স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা দূর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে রামপুরহাটের জনসভা। কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইন বাতিল, কৃষকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে তেমন প্রাসঙ্গিক ছিল না বাম ও কংগ্রেস।
তৃণমূল অন্দরমহলের গুঞ্জন, দলীয় দ্বন্দ্বের ফাটল দিয়ে নতুন করে জমি খুঁজে নিচ্ছে সিপিআইএম। নানুর, সুচপুর, সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা বারে বারে রাজনৈতিক সংঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে বাম আমল থেকে। সেই ধারা চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও।
বিজেপির বাড়বাড়ন্তে পরিস্থিতি ভালো নয়, তা প্রকারন্তরে স্বীকার করছেন তৃণমূল নেতারা। সিপিআইএমের দাবি, বীরভূম জেলা সহ রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মাখামাখি সম্পর্ক।
দলবদল শুধু রঙ পাল্টানো। মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। জনসভা ঘিরে মিছিল ও বাইক মিছিল তারই প্রমাণ দিচ্ছে। রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা প্রবল তাও স্বীকার করছেন বাম নেতারা।