লাদাখ থেকে অরুণাচল, পুরো সীমান্ত জুড়েই সেনা বাড়াচ্ছে চিন

এনবিটিভি ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে সিকিম, উত্তরাখণ্ড হয়ে লাদাখ, ভারত-চিনের পুরো সীমান্ত জুড়েই ফের সেনাবাহিনী ও অস্ত্র সমাহার বাড়চ্ছে চিন। বিভিন্ন সংবাদসংস্থা সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র লাদাখ অঞ্চলেই ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রনরেখা (LAC) বরাবর দূরপাল্লার কামান, ট্যাঙ্ক. আর্টিলারি গান, ফাইটার বোম্বার, রকেট ফোর্স ও এয়ার ডিফেন্স রাডার এনেছে চিন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, ভারত দাবি করছে আগে ওই সমস্ত ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরানোর জন্য। প্রকৃত নিয়ন্ত্রনরেখায় উত্তেজনা কমাতে এই পদক্ষেপ আগে প্রয়োজন।

যদিও কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে ভারত ও চিন। কিন্তু এরমধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা সেনা মোতায়েনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, লাদাখ ও সিকিমে দুই দেশের সৈনিকদের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে সেনা বাড়াতে শুরু করেছে বেজিং। বসে নেই ভারতও, সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের জোহর উপত্যকায় কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুন্সিয়ারি-বুগডিয়ার-মিলাম সড়ক তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য হেলিকপ্টারে ভারী যন্ত্রপাতি পাঠাচ্ছে ভারত। এই সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনা পোস্টগুলির সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।

পাশাপাশি এএনআই বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) ডিজি অনিল কুমারকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিন সীমান্তে প্রচুর শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। মূলত উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও লাদাখে দুর্গম এলাকায় রাস্তা ও পরিকাঠামো তৈরির কাজে গতি আনতে বিআরও ইতিমধ্যেই একটি ট্রেন ভাড়া নিয়ে ১৫০০ শ্রমিককে ঝাড়খণ্ড থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিআরও আরও ১১,০০০ শ্রমিককে ওই তিন রাজ্যে পাঠানোর জন্য রেলের সঙ্গে মৌ (MoU) স্বাক্ষর করেছে। অপরদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ভারতও বাহিনী ও প্রয়োজনী অস্ত্রশস্ত্র সীমান্তে পাঠিয়ে দিয়েছে চিনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য।

Latest articles

Related articles