পারভেজ হোসেন,
এনবিটিভি নিউজ ডেস্কঃ
সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে সেখানে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত সরকারি কলেজ নাম যুক্ত করার পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভ এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে উত্তেজনা বিরাজ করছে বরিশালজুড়ে। গতকাল দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন এবং এর বিরুদ্ধে সরকারি বরিশাল কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একাংশ পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বরিশাল কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর।
বরিশাল কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করা গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা তাদের দাবি তুলে ধরে বলেন, অশ্বিনী কুমারের স্বজনরা বাড়িটি বিক্রি করে। পরে সেখানে বরিশাল কলেজ স্থাপন করা হয়। বিভাগীয় শহর হিসেবে কলেজের নাম বরিশাল কলেজ রাখাই যুক্তিযুক্ত বলে দাবি তাদের।
অপরদিকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর নগরীর ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদ বরিশাল জেলা কার্যালয় থেকে সরকারি বরিশাল কলেজের নাম মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরণের দাবিতে মিছিল বের করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনী কুমার হলের রাস্তার অপরপ্রান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ।
এ সময় বাসদ নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার বিস্তারে মহাত্মা অশ্বিনী কুমারের অবদান অনস্বীকার্য। মহাত্মার বসতভিটাটাই এখন বরিশাল কলেজ। অথচ সেখানে তার কোনো নাম নেই। ‘মহাত্মা অশ্বিনী কুমার সরকারি কলেজ, বরিশাল’ নামে নামকরার গেজেট নোটিফিকেশন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। একই সঙ্গে কলেজে অশ্বিনী কুমারের স্মৃতি রক্ষার্থে মিউজিয়াম ও ভাস্কর্য করার দাবি জানান তারা।
সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস সংসদে বরিশাল কলেজের নাম অশ্বিনী কুমার কলেজ করার দাবি তুলে ধরেছিলেন। পরে তার প্রস্তাব পাশ করা হয়। যদিও গেজেট প্রকাশ হয়নি এখনও।