


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র আরামবাগ মহকুমা থেকে গত এক মাসে ১০০ নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে গেছে। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য রিপোর্টে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গেই নাগরিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে আরামবাগ এলাকায় ব্যাপক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে আরামবাগের রাস্তা ও পার্কে যুগলদের অবিরাম উপস্থিতি না থাকার কারনে ফুল বিক্রিতে ক্রমাগত মন্দা দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় ফুল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, “আজকের মতো দিনে সাধারণত গোলাপের চাহিদা বেড়ে যায়, তবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাবা-মায়েরা ও কিশোর-কিশোরীরা খুব সাবধান হয়ে চলেছে, ফলে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে”।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমের নামে কিছু অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী, যেসব নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদেরকে অপহরণের মাধ্যমে প্রেমের জালে ফেঁসানোর ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত ত্বরিত ভাবে চলমান, এবং অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আধুনিক সময়ের প্রেম ও সামাজিক উদ্দীপনার মাঝে এমন খবর স্থানীয় সমাজে আতঙ্ক ও আতুরতা সৃষ্টি করছে। ফুল বিক্রেতারা নিরবচ্ছিন্ন অভিযোগ তুলছেন, “আগের বছরের তুলনায় আজকের দিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন, কেননা নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্রেতারা বাজারে আসতে ভয় পাচ্ছেন।”
এই পরিস্থিতিতে, প্রশাসনিক এবং আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধের তদন্ত ও নিখোঁজ মামলার পিছনে থাকা গোপন উদ্দেশ্য উন্মোচনের চেষ্টা চালাচ্ছে। একদিকে যেখানে প্রেমের উদযাপনের দিনটি পরিকল্পিতভাবে উদ্দীপিত করার প্রত্যাশা ছিল, অন্যদিকে এই নিখোঁজ মামলার খবর স্থানীয় সমাজে ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
পরবর্তী তদন্ত ও প্রকাশ্যে আসা নতুন তথ্যে পরিস্থিতির প্রকৃত রূপ আরও স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।