ভোলার চড়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ডাকাত দলের নতুন নাটক

 

শরিফুল ইসলাম সৌরভ
ভোলা জেলা প্রতিনিধি:

গত ২৩/১১//২০২০ তারিখে ভোলা সদর রাজাপুর ইউনিয়নের ভোলার চরে আলতু ডাকাত বাহিনী ও লক্ষীপুরের হারেস

ডাকাত বাহিনীর সদস্যরা এক হয়ে ভোলার চরের নিরীহ গ্রামবাসীর উপরে ডাকাতি ও গবাদি পশু লুটপাট এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে।

চরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বেশ কিছুদিন থেকেই নিরীহ চরবাসীর উপরে লুটপাট ডাকাতি চালিয়ে আসছে ভূমিদস্যু ওহাব আলির নেতৃত্বে আলতু ডাকাত ও হারেছ ডাকাত বাহিনী ।

২৩/১১/২০ তারিখে আবারো নিরীহ চরবাসীর উপরে সশস্ত্র ডাকাত দল ডাকাতি ও গবাদি পশু লুটপাট ও হামলা চালায় ।‌

ইতিপূর্বেও একই এলাকায় ওই ডাকাতদল বারবার ডাকাতি লুটপাট করেছে,

যা পত্রপত্রিকাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কিন্তু ভোলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন চর অঞ্চল হওয়ার কারণে পুলিশ ওই সব ডাকাত বাহিনী কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।

উক্ত ডাকাত দলকে নেতৃত্ব দেন রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজান এর মামা ভূমিদস্যু ওহাব আলী।।

ওহাব আলী রাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মামা এবং থানা প্রশাসন এর সাথে হাত থাকায় ওই সব ডাকাত দল বারবার ডাকাতি করে পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে জানান গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী আরো জানান নিরীহ চরবাসীর উপরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাধারণ জনগণ যখন বাড়িঘর ছেড়ে চলে যায়,

তখন ভূমিদস্যু স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মামা ওহাব আলী সেই সকল বাড়িঘর জমিজমা দখল করে নেন ,এবং ডাকাতি ও লুটপাটের টাকা দিয়ে থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ

করেন ও ডাকাতদলের পক্ষে আইনি সহায়তা করেন ।

স্থানীয় কৃষক ও সাধারন জনগন জানান ডাকাত দল দেখে তারা গ্রামের মসজিদের মাইক দিয়ে সাধারন মানুষকে সচেতন করেন,

যে ডাকাতদল আসতেছে সবাই তাদেরকে প্রতিহত করুন কিন্তু বিচ্ছিন্ন চলের নিরস্ত্র মানুষ এবং সীমিত সংখ্যক ঘরবাড়ি থাকায় সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দল চর বাসীকে জিম্মি করে লুটপাট

ভাঙচুর এবং স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও আহত করে।‌

আহতরা হলেন মোঃ করিম আখন , মোঃ কাদের , জাহানারা বেগম ও বিবি মরিয়ম মোঃ রশিদ আখন মোঃ আব্দুস সালাম মিঠু।

গুরুতর আহতদের মধ্যে 4 জনকে ভোলা হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার হয়েছে ।

। ঘটনা এখানে শেষ নয় ,এই ঘটনায় যাতে চিহ্নিত ডাকাত বাহিনী পার পেয়ে যেতে পারে ,

তাই ডাকাত দলকে নেতৃত্ব দানকারী ওহাব আলী মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন তার দুইজন লোক (ডাকাত) নিখোঁজ বলে দাবি করে থানা পুলিশ কে বিভ্রান্ত করে চলছে ।।

ফলে থানা পুলিশ নীরিহ গ্রামবাসীকে সহযোগিতা না করে ডাকাত দলের মিথ্যা অভিযোগে প্রভাবিত হয়ে নির্বিকার চিত্তে বসে আছে ।।

এ ব্যাপারে ভোলা থানার ওসি এনায়েত জানান ডাকাত দল লক্ষীপুর জেলার ও চর অঞ্চলের হওয়ার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেন না,

কিন্তু ডাকাত দলের মূলহোতা ওহাব আলী একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি হয়েও থানা পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে চলছে ।।

এ যেন প্রশাসন ডাকাত দলের কাছে অসহায়,,,।

কিন্তু কেন ? কেন বারবার ডাকাতি লুটপাট হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে পার পেয়ে যায় ডাকাতদল ও তাদের গডফাররা।

আর থানা পুলিশ প্রশাসন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায় ।

তবে কি গ্রামবাসীর অবিযোগ্য সত্য থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই এভাবে চলে ডাকাতি লুটপাট জমি দখল।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ ব্যাপারে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেছেন।।

Latest articles

Related articles