সাইফুল্লা লস্কর : একদিকে যখন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা একের পর এক মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকান এবং মসজিদ ভাঙচুর করেছে ঠিক সেই সময় গত বুধবার পাকিস্তানের একটি পরিত্যক্ত মন্দিরেও হামলা চালিয়েছিল একদল উন্মত্ত জনতা। তাদের নেতৃত্বে ছিল পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি পার্টির কিছু স্থানীয় নেতা। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলার তিরি গ্রামে অবস্থিত পরিত্যক্ত ওই মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভিড়ের আকার খুব বেশি হওয়ায় উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। এই গাফিলতির জন্য ৮ জন পুলিশ অফিসার কে সাসপেন্ড করল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সরকার।
কারাক জেলার পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখনো পর্যন্ত। গত রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৪৫ জনকে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় বেশকিছু জামায়াতে ইসলামীর নেতা রয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সরকার একটি ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্দিরের ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য। সরকার নির্দেশ দিয়েছে ১০ দিনের মধ্যে মন্দিরটি পুনরায় তৈরি করার জন্য একটি নকশা প্রস্তুত করতে।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় স্থানীয় সমস্ত কর্তৃপক্ষকে ৫ ই জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজিরা দিতে বলেছে। সুপ্রিমকোর্টে তরফ থেকে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে।