নিউজ ডেস্ক : কয়েক আগে হুগলিতে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্যসভার এমপি লকেট চ্যাটার্জির আয়োজিত এক রোডশোতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের কুখ্যাত “গোলি মারো” স্লোগান দেওয়া ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের হুকুম দেওয়া চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার আইজিপি হুমায়ুন কবীর পদত্যাগ করলেন। তিনি প্রাথমিক অবস্থায় পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করার কথা বললেও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, তার পদত্যাগের কারণ তিনি কয়েক দিন পরে জানাবেন। জল্পনা শুরু হয়েছে যে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য পদত্যাগ করেছেন।
রাজ্যের গেরুয়া শিবির বারবার অভিযোগ করেছে হুমায়ুন কবীর সবসময়ই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি চান তার স্ত্রী আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। যদিও তার স্ত্রীর তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো খবর নেই। এক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ এবং প্রিয় পুলিশ অফিসার হুমায়ুন কবীরকে সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য সরকারের শাসক দলের স্বার্থবিরোধী বেশ কিছু মন্তব্য করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে তিনি রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পশ্চাৎপদতা নিয়ে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল এই বছরে ৩০ শে এপ্রিল। সে জায়গায় তিনি নিজের অবসরের সময়সীমা বর্ধিত করার প্রচেষ্টা না করে, তার আগেই ৩১ শে জানুয়ারি ইস্তফা দিলেন। বিজেপি ইতিমধ্যেই উগ্রবাদীদের গ্রেফতারের বিষয়ে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কমিশনের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। তৃণমুল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পূর্ণ পুলিশের ব্যাপার এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো রকমের সম্পর্ক নেই।