নিউজ ডেস্ক : সামনে নির্বাচন রেখেও মোদি সরকার আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। মোদির আপাতত বয়ে আনা আছে দিনে ঊর্ধ্বমুখী আপামর জনসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের দাম। পেট্রোল ডিজেল কেরোসিন থেকে রান্নার গ্যাস। দুধের দাম থেকে খাদ্যপণ্য। এবারে বৃদ্ধি করা হল প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিটের দাম। সঙ্গে এক ধাক্কায় কুড়ি টাকা বাড়ানো হলো প্লাটফর্ম টিকিট এর দাম ও।
ইতিপূর্বে প্লাটফর্ম টিকিট এর দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা এবারে হলো ৩০ টাকা। স্বল্প দূরত্বে ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা ছিল এর আগে কিন্তু সেটাও এবার থেকে হবে ৩০ টাকা। যদিও মোদি সরকারের তরফ থেকে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, রেলের প্লাটফর্ম টিকিট এর দাম ও স্বল্প দূরত্বের টিকিটের দাম বৃদ্ধি একেবারেই ক্ষণস্থায়ী একটা পদক্ষেপ। এটি গ্রহণ করা হয়েছে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম গুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী সমাগম রোধ করার জন্য। কিন্তু ইতি পূর্বে প্যাসেঞ্জার এবং দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া মোদি সরকার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে এর আগে মোদি সরকার যে সমস্ত বিষয়ে ক্ষণস্থায়ী এবং স্বল্প সময়ের কথা বলে কোন ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে পরবর্তীতে আর সেই ভাড়া কমানো হয়নি তাই এক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে বলে আশঙ্কা সবার।
করোনার ধাক্কায় বেসামাল ভারতীয় অর্থনীতিতে বর্তমানে কর্মসংস্থানের চরম দুর্দিন চলছে। সাধারণ মানুষের অবস্থা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বমুখী দাম এর ফলে আরো দুর্দশাগ্রস্ত। তাই রোজগারের খোঁজে সাধারণ মানুষ পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রাম থেকে শহরে, এক শহর থেকে আরেক শহরে এমনকি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই যাতায়াতের মাধ্যম ট্রেন। কিন্তু মোদি সরকার বারবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রেনের টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের জীবিকা অন্বেষণ এর পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলে মত অনেকের।