নিউজ ডেস্ক : NRC এবং CAA এর কথা বলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রচার অভিযান চালিয়েছে বিজেপি। এর মাধ্যমে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী অন্য সব সম্প্রদায়ের মানুষকে বৈধ নাগরিকত্ব দিয়ে মুসলিমদের বিতাড়িত করা হবে এমনই পরিকল্পনা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে ভারত তথা সারা বিশ্বজুড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এন আর সি যা এই পুরো প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তা পরিচালনা করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকার নেয়নি বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
রাজ্যসভায় কেন্দ্র এন আর সি দেশজুড়ে চালু করতে যাচ্ছে কিনা এই ব্যাপারে করা একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় জানান, এখনো পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জাতীয় স্তরে এনআরসি পরিচালনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। উল্লেখ্য একই রকম কথা কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল এনআরসি এবং সি এ এ এর পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে ও। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে এসে তিনি জানিয়েছিলেন এনআরসি সারা ভারতজুড়ে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে শুরু করার কোন পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারী তাস খেলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার মতলবে আছে বিজেপি। তাই একশ্রেণীর ভোট হাসিল করতে রাজ্যে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয় বর্গী, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী থেকে যোগী আদিত্যনাথ, অমিত শাহ এরা সর্বদাই বলেন যেকোনো মূল্যে এ রাজ্যে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা হবে। স্বভাবতই এইভাবে রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা’ এবং আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি করে ধর্মীয় মেরুকরণ এর মাধ্যমে নির্বাচনী আসলে ফায়দা তুলতে চায় রাজ্য বিজেপি।
তবে NRC প্রক্রিয়া আসামে পরিচালনা করে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাই আসামের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বারবার আসামের এনআরসি প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ছিল বলে স্বীকার করে নেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। উল্লেখ্য সেখানে এনআরসি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাদ পড়েছিল প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের নাম যাদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের।