নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে। তৃণমূল প্রার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে না তাদের এলাকার বুথে। মারধর করছে যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর এখতিয়ার বহির্ভূত কাজের প্রতিবাদ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জন্য তাকে নোটিশ পাঠিয়ে জবাব তলব করেছে কমিশন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্তব্যে অনড় রয়েছেন। আজকে এক জনসভায় তিনি বলেন, বিজেপির জন্য কাজ করলে আমি বলব। আমি সিআরপিএফকে সম্মান করি কিন্তু যারা বিজেপির জন্য কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে বলব।
রাত পোহালেই চতুর্থ দফার ভোট (West Bengal Assembly Elections)। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জোরকদমে প্রচার করছে রাজনৈতিক দলগুলি। শুক্রবার বর্ধমানের জামালপুরে সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকে বিজেপি, কমিশন ও CRPF-কে তুলোধোনা করেন তিনি। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে বলেন, “CRPF-রা বিজেপির হয়ে কাজ করছে। ওরা যতক্ষণ এসব করবে ততক্ষণ আমি ওদের বিরুদ্ধে বলবোই। আমি সিআরপিএফদের সম্মান করি, কিন্তু যারা বিজেপির হয়ে কাজ করে, এর প্রতিবাদ করবই।” এরপরই কমিশনকে তোপ দেগে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু বলেন। অমিত শাহ অনেক আপত্তিকর কথা বললেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয় না। কিন্তু মমতা কিছু বললেই বিধিভঙ্গ। আগেও অনেকবার শোকজ করা হয়েছে। লাভ নেই।” বিজেপি আপনাদের কে? কমিশনকে প্রশ্ন মমতার। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।” উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে এক জায়গায় এক তৃণমূল নেতার বাড়ির বাইরে ইভিএম পাওয়া যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কমিশন কিন্তু আসামে এক বিজেপি নেতার গাড়িতে ইভিএম পাওয়া গেলেও অজ্ঞাত কোনো কারণে নিরব থাকে নির্বাচন কমিশন। মমতার ব্যাপারে বার বার বিধিভঙ্গের নোটিশ গেলেও পাকিস্তান, জয় শ্রীরাম, মুসলিমদের জিহাদী ইত্যাদি ভাষা প্রয়োগ করা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কমিশন নিরব। এই সব বিষয়গুলো কমিশনের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে বহু যৌক্তিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।