নিউজ ডেস্ক : মোদি সরকারের আগমনের পর থেকে বিতর্কিত এবং স্পর্শকাতর ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের প্রত্যাশিত রায় প্রদান করা বিচারকদের অনেক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত করা হয়েছে নানাভাবে। আবার সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া বিচারকদের পড়তে হয়েছে বিবিধ সমস্যায়। এমনকি অনেকে অভিযোগ করেন, অমিত শাহের করা অপরাধের বিচারের সঙ্গে যুক্ত জাস্টিস লয়াকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য। আবার গেরুয়া শিবির পুরস্কৃত করল তাদের প্রত্যাশা পূরণ করা এক বিচারপতিকে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় যুক্ত ৩২ জন কট্টর হিন্দুত্ববাদীকে আশ্চর্যজনকভাবে বেকসুর খালাস দেয় সিবিআই এর আদালতের বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদব। সেটাই তার শেষ রায়। তার পর অবসরে যান তিনি। এবার তাকে উত্তর প্রদেশের ডেপুটি লকায়ুক্ত নিযুক্ত করল যোগী সরকার। ওই বিতর্কিত রায়ে যাদের বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানি, বিজেপির প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর যোশী, কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা ভারতে কল্যাণ সিং প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
গত বছর সেপ্টেম্বরে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত রায় দেওয়ার সময় জানায়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এবং এটা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র হিসাবেও বিবেচনা করা যায় না। সিবিআই আদলতের যে বিশেষ বেঞ্চ এই রায় দেয় তার প্রধান ছিলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদব। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, অভিযুক্তরা মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এবং তাঁরা করসেবকদের মসজিদ ধ্বংস করতে উসকানি দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার, অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে সিবিআই এর অভিযোগ খারিজ করে সবাইকে মুক্ত করে দেন।
চমকপ্রদ বিষয় হল, প্রকাশ্য দিবালোকে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হিন্দুত্ববাদীদেরকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়া এই বিচারপতি এবারে নিযুক্ত হলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি দমন শাখার অন্যতম শীর্ষ আসনে। এর আগে একই রকমভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। যাকে নজিরবিহীনভাবে অবসরের ঠিক পরেই রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি।