নিউজ ডেস্ক : ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক নিষিদ্ধ করেছে। ভারতের সংসদে নতুন আইন তৈরি করেছে মোদি সরকার যাতে বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি তিন তালাক দিলে তার ১০ বছরের কারাবাস হবে। এই মুসলিম পুরুষের তালাকের অধিকার শেষ হওয়ার পর এবার এই তালাকের অধিকার মহিলাদের প্রদান করল কেরালা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছে একটি বিবাহিতা নারী তার পুরুষ সঙ্গীকে তালাক দিতে পারবে আদালতে না গিয়েই। উল্লেখ্য এর আগে আদালতের স্মরনাপন্ন হতে হত তার পুরুষ সঙ্গীকে তালাক দিতে।
জানা গেছে, কেরালা হাইকোর্টে ১৯৭২ সালে ‘কে সি মঈন বনাম নাফিসা ও অন্যান্যরা’ মামলায় একটি একক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল কোনো পরিস্থিতিতেই একটি মুসলিম বিবাহ শুধু স্ত্রী চাইলেই ভেঙে দেয়া যাবে না। ১৯৭২ সালের ওই রায়ে বলা হয়, একজন মুসলিম নারী আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবেন না। একই সঙ্গে বলা হয়, ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ আইন অনুযায়ী, এ ধরনের কোনও কিছু করতে হলে তাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।
৫০ বছর পর কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি এ মুহাম্মদ মুস্তাক ও সি এস ডায়াসের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে- পবিত্র কুরআন শরিফ স্বামী-স্ত্রী উভয়কে বিচ্ছেদ চাওয়ার সমান অধিকার দেয়। সে কারণে কোনো মুসলিম নারী বিচ্ছেদ চাইলে তাকে আদালতে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।