নিউজ ডেস্ক : দেশের করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বিপদজনক থেকে অতি বিপজ্জনক মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের হার ২ লক্ষ পার করেছে দুই দিন আগে। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে এক হাজারেরও বেশি মানুষের। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন করণা পরিস্থিতিতে এখনই লাগাম টানতে না পারলে কয়েক মাস পর দেশে প্রতিদিন মৃত্যুর হার ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বিপদজনক পরিস্থিতিতেও দেশের শাসক দল বিজেপি জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপির প্রত্যক্ষ সমর্থনে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে চলছে লক্ষ লক্ষ সন্নাসী এবং পুণ্যার্থীর আগমনে মহাকুম্ভ মেলা। নির্বাচন কমিশন কোন অজ্ঞাত কারণে করোনা প্রাদুর্ভাবকে কোনরকম গুরুত্ব না দিয়েই বিজেপিকে নিরব এবং প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর রাজ্যের রাজ নেতাদের জন্য এক শিক্ষার বার্তা নিয়ে হাজির হলেন।
পশ্চিমবঙ্গের সেই অর্থে নির্বাচনী প্রচারাভিযান এখনো পর্যন্ত শুরু করেননি রাহুল গান্ধী। কয়েক দিনের মধ্যে তার বঙ্গে প্রচার অভিযানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যে ক্রমশ আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠা করোনা প্রাদুর্ভাবের কথা মাথায় রেখে তিনি বঙ্গে তার সমস্ত নির্বাচনী জনসভা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, “করোনা প্রাদুর্ভাবের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে আমার সমস্ত জনসভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদেরকে অনুরোধ করবো করোনা প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে রাজ্যে বৃহৎ জনসভার আয়োজনের কি পরিনতি হতে পারে, এ ব্যাপারে গভীর চিন্তা ভাবনা করার।”
উল্লেখ্য এখন প্রায় প্রতিদিনই বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে বৃহৎ জনসভা করার দাবি করছেন। আবার কখনো কখনো দেশবাসীকে তারা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করোনা বিধি মেনে চলার উপদেশ প্রদান করছেন। তাই তাদের মতো নেতাদের জন্য রাহুল গান্ধীর বার্তা এক নৈতিক এবং বাস্তবতা বোধের শিক্ষা ছাড়া আর কিছু নয়। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তিন দফা নির্বাচনকে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে একটি দফায় করার দাবি তুললেও বিজেপি তাতেও সম্মত হয়নি এবং স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন কমিশনও কান দেয়নি সে কথায়।