নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম সিল করে দেওয়া হল, মাছি গলারও উপায় নেই

করোনার প্রকোপ সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ফের নতুন করে। একবছর আগের স্মৃতি মনে করাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। চলতি মাসের শুরু থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। গত তিন দিন ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুও লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতে করোনা এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জনের। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। করোনার সংক্রমণ রোধে কখনও লকডাউন, আবার কখনও কার্ফুর মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। আইপিএল যদিও এর মধ্যেই চলছে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে কোটিপতি লিগ হচ্ছে বহাল তবিয়তে। গত ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এরই মধ্যে চেন্নাই ও মুম্বইয়ের মাঠে গড়িয়েছে টুর্নামেন্টের ১৮টি ম্যাচ। করোনা সতর্কতার কথা মাথায় রেখে এবার শুধু ছয়টি ভেন্যুতে খেলা রেখেছে আয়োজকরা। যার মধ্যে অন্যতম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের মোতেরায় অবস্থিত নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত আইপিএলের প্রথম পর্বের ৮টি ম্যাচ হবে এই মাঠে। পরে প্লে-অফ পর্বের ম্যাচ চারটিও হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আগামী ২৬ এপ্রিল আহমেদাবাদের এই স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস। এছাড়া দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচও রয়েছে এই মাঠে। সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই স্টেডিয়াম। বায়ো সিকিউর বাবল তৈরির জন্য প্রথম ম্যাচের ১৪ দিন আগেই জনসাধারণের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাঠটি। এখন শুধুমাত্র মাঠকর্মীরা বাদে কেউই মাঠে যেতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে মাঠের কর্মী ও কর্মকর্তার সংখ্যাও এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে এনেছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিএ) কর্মকর্তা, সংগঠক, কারিগরি ও মাঠকর্মী মিলিয়ে শুধুমাত্র ৬০ জনকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সংস্থার যুগ্মসচিব অনিল প্যাটেল বলেছেন, ”চলতি সপ্তাহের শুরুতেই স্টেডিয়াম পুরো লকডাউন হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন এক-তৃতীয়াংশ কর্মী দিয়ে সব কাজ পরিচালনা করছি। মাঠের চারটি এন্ট্রির মধ্যে মাত্র একটি খোলা রাখা আছে।”

Latest articles

Related articles