নিউজ ডেস্ক : দেশে অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে, আর সে জন্য হারাচ্ছেন মানুষ। ফাঁকা নেই হাসপাতালের কোন বেড। সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাতে কি হয়েছে! তাই বলে মোদি জি কে নিয়ে প্রশ্ন ?? এত বড়ো স্পর্ধার শাস্তি হিসেবে প্রশ্ন তোলা টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল মোদি সরকার। মোদির করোনা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সব একাউন্ট বন্ধ করতে টুইটারকে ফরমান জারি করল বিজেপি সরকার।
সোজা কথায় মোদি বা তার নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সবার একাউন্ট বন্ধ করতে চায় এই গেরুয়া সরকার। বিরোধীরা সরকারের এই পদক্ষেপকে নির্লজ্জ একনায়কতন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যে আসতে চলেছে এ ব্যাপারে গত বছর নভেম্বর মাসেই সতর্ক করেছিলেন দেশের বিজ্ঞানী মহল। কিন্তু সে বিষয়টিকে তখন গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি সরকার। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত দেশে প্রবল হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সময় ও কুম্ভ মেলা বন্ধ করেনি বা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক জনসভাগুলো বন্ধ করতে সম্মত হয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে শুধু করোনা সংক্রমনের বাড়তি প্রাদুর্ভাব নয় অক্সিজেনের ব্যাপক ঘাটতি ও দেখা দিয়েছে, হাসপাতালের করোনা বিভাগগুলোতে ফাঁকা নেই কোনো শয্যা, একটা শয্যাতে আছেন একাধিক করোনা রোগী।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের থেকে নোটিস পাওয়ার পরই বাংলার বিদায়ী মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ রেবান্ত রেড্ডি, অভিনেতা বিনীত কুমার সিং, পরিচালক বিনোদ কাপরির মতো বিশিষ্টদের টুইট ব্লক করে দিয়েছে টুইটার (Twitter)। কী ছিল সেই সমস্ত টুইটে? আসলে গত মাস থেকে দেশে হঠাৎই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মারণ ভাইরাসটি। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তারই মধ্যে আবার অক্সিজেনের হাহাকার। হাসপাতালে নেই বেড। পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন না থাকারও অভিযোগ উঠেছে। এমন সংকটকালে কেন্দ্রের ভূমিকা ও পদক্ষেপ নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আবার অনেকে অতিমারীর মধ্যে কুম্ভমেলা (Kumbh Mela) আয়োজন নিয়েও একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রকে। এই ধরনের ‘উসকানিমূলক’ টুইটই ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
যদিও ঠিক কোন টুইটগুলি ব্লক করা হয়েছে কিংবা কী কারণে তাঁদের টুইটগুলি আর দেখা যাচ্ছে না, তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেনি টুইটার। বরং যাঁদের টুইট ব্লক হয়েছে, সেই সব ইউজারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। চিঠিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের মন্তব্য ভারতীয় আইনবিরোধী। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে যে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা Lumendatabase.org ওয়েবসাইটটিতে জানিয়েছে টুইটার। ব্লক করে দেওয়া টুইটগুলি দেশের বাইরে বসে লগ ইন করে দেখা যাবে। কিন্তু ভারতে সেসব আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কৃষক আন্দোলন সামলাতে ব্যর্থ মোদি সরকার এভাবে কৃষক আন্দোলনের নেতাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এর আগে। এবার করোনা ব্যর্থতার পর নির্বাচনে ক্ষতির আশঙ্কায় একই পথে হাঁটছে মোদি সরকার।