নিউজ ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পাশের ময়দান্দাবাদ প্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলাকে নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান গোষ্ঠী। এ নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জেলা তালেবানদের হাতে গেল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
প্রাদেশিক কাউন্সিলর সদস্য শরিফুল্লাহ হোতাক আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, পাঁচ দিনের অবরোধের পরে শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে তালেবানরা জলরেজ জেলা দখল করে। বর্তমানে দেশটির ৭৫ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড তালিবানের দখলে বলে দাবি করেছে সশস্ত্র সংগঠনটি। যদিও পশ্চিমাদের প্রিয় আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির সরকারের দাবি দেশটির ৪০ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে তাদের দখলে এবং বাকি অংশে ১০ শতাংশে তাদের সীমিত প্রভাব আছে।
জানা গিয়েছে জেলা পুলিশ প্রধান ৩৫’ টি সুরক্ষা বাহিনীসহ তালেবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং জেলা প্রশাসনিক প্রাঙ্গণ পুরোপুরি তালেবানের হাতে সোর্পদ করে দেন।
এ ব্যাপারে কৃতিত্বের দাবি করে তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এই দলটি জেলা বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে পরাস্ত করে সাহসিকতার সাথে সরকারি সদর দফতরসহ জেলাটি দখল করেছে।
তবে জলরেজের পতনকে স্বীকার না করেই দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে রাজধানী কাবুল থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) এরও কম দূরে অবস্থিত জেলা থেকে বিদ্রোহীদের ঠেকানোর জন্য একটি অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জলরেজের পরিস্থিতিকে একটি “কৌশলগত পশ্চাদপসরণ” হিসাবে অভিহিত করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরুর আগের দিন রাজধানী কাবুলের কাছে ওয়ারদার প্রদেশের নের্খ জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান যোদ্ধারা।
এর আগে গত ৫ মে তালেবানরা উত্তরাঞ্চলীয় বাগলান প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ বোরকা জেলাও দখল করে নেয়। এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সব সেনা সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।