উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল বিজেপিতে, চিন্তিত হাইকমান্ড নামল ড্যামেজ কন্ট্রোলে

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে অশনি সঙ্কেত পেয়েছে যোগীর বিজেপি। হার জুটেছে সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ সহ আরো ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে, ভরাডুবি উত্তর প্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ও। বিজেপির এই দুর্দিনে দেখা দিচ্ছে দলীয় কোন্দল। প্রশাসনের মানুষের ক্ষোভের পাশাপাশি শাসকদলের বিধায়কদের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছে। বছর ঘুরলেই গোবলয়ের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হাওয়া খারাপ বুঝে দুদিনের সফরে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও একান্তে বৈঠক করলেন মন্ত্রী ও দলের নেতাদের সঙ্গে।

 

২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর এই প্রথম দলের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে এই ভাবে একান্তে বৈঠক করলেন যোগী। রাজ্যের করোনা মোকাবিলা নিয়ে ব্যর্থতার গুঞ্জন এখন রাজ্যটির সর্বত্র। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছেন দলীয় বিধায়ক-সাংসদরাও। সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে জনসমক্ষে সরব হয়ে দেখা গিয়েছে তাদের অনেককে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে যোগীর। তার পর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো বারানসি, অযোধ্যা, মথুরার মতো জায়গায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। অযোধ্যা-বারাণসীর মতো শক্ত ঘাঁটিতে শোচনীয় ফল হয়েছে পদ্মশিবিরের। তাতেই চিন্তার ভাঁজ হাইকম্যান্ডের কপালে।

 

পঞ্চায়েত ভোটের ধাক্কা সামলাতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় একাধিক পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, সন্তোষ সমস্ত মন্ত্রীদের কাছ থেকে তাঁদের দফতরের কাজ কর্মের খতিয়ান জানতে চান। করোনা মোকাবিলায় কেমন কাজ হয়েছে, এখনও কোন কোন সমস্যার সমাধান হয়নি, আরও কী কী উপায়ে জনসংযোগ বাড়ানো যায় এসব নিয়ে আলোচনা করেছেন মন্ত্রীরা। তবে হাইকম্যান্ডের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা, সরকারের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়া। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব দলীয় নেতা-কর্মীদের। আর আমলাতন্ত্রের উপর দলীয় নেতৃত্বের ক্ষোভ চিন্তার কারণ।

Latest articles

Related articles