ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট রাইসিকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইল

নিউজ ডেস্ক : গত শুক্রবারের ভোটে ইরানের জনগন নিজেদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। মোট ভোটের ৬২ শতাংশ পেয়ে জয়ী হয়েছেন আয়াতুল্লাহ খোমেনী সমর্থক এবং ইসলামপন্থী ইব্রাহিম রাইসী। ইরানের এই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি কে নিয়ে ইসরাইল উদ্বিগ্ন। ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। আজ রবিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলেছেন, ইরানের সবচেয়ে উগ্রপন্থী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ইব্রাহিম রাইসি। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট দেশটির পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করবেন। ইসরায়েল বলেছে, ইব্রাহিম রাইসির ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুতর উদ্বেগ থাকা উচিত। উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে থেকে পশ্চিমা গণমাধ্যমে উদ্বেগের সঙ্গে রাইসীর জয়ের সম্ভাবনা কথা প্রচার করা হচ্ছিল।

 

 

ইব্রাহিম রাইসি অনেকের কাছে অতিরক্ষণশীল বলে পরিচিত। ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল শনিবার তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁর এই বিজয় অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। কেননা, তাঁর চেয়েও সম্ভাবনাময় ও শক্তিশালী কয়েকজন রাজনীতিবিদ নির্বাচনে অংশ নেননি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রধান বিচারপতিও। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও রক্ষণশীল রাজনীতিকদের সমর্থন পান। ইরানের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করা হয় রায়সিকে। পরাজয় মেনে নেন ইব্রাহিম রাইসির তিন প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থী মোহসেন রেজাই, আমির হোসেন কাজিজাদ্দেহ হাসেমি ও মধ্যপন্থী আবদুল নাসের হেমাতি।

 

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগস্টে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবেন রাইসি। জয়ের পর দেওয়া বিবৃতিতে রাইসি বলেছেন, তিনি পুরো জাতির নেতা হবেন। সরকারের ওপর জনগণের বিশ্বাস জোরদার করতে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। রাইসি আরও বলেছেন, তিনি ইরানে একটি কঠোর পরিশ্রমী, বিপ্লবী ও দুর্নীতিবিরোধী সরকার গঠন করবেন। তবে রুহানির আমলে দেশটিতে অর্থনৈতিক যে মন্দ দেখা গিয়েছে তার সমাধান করা এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে আলোচনা করে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রয়াস চালানো তার কাছে চ্যালেঞ্জ হবে। এছাড়াও সৌদি আরবের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোন পথে যাবে তা ও সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে রাইসিকে।

Latest articles

Related articles