নিউজ ডেস্ক : রবিবার ভোর বেলা ত্রিপুরার কোহাই জেলায় আবার তিন নিরীহ মুসলমানকে কাপুরুষোচিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করল হিন্দুত্ববাদী গো সন্ত্রাসীরা। হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরার পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে দোষারোপ করল মৃতদের ওপর।
দেশ জুড়ে গো সন্ত্রাসীরা যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তার বিরুদ্ধে নূন্যতম কোনো প্রতিবাদ ও ওঠে কোনো রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের তরফ থেকে। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি সরকারগুলোর মদদপুষ্ট এই সন্ত্রাসের শেষ কোথায়?
বিশ্বের মধ্যে একমাত্র দেশ ভারত যেখানে সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় নিরীহ মুসলিমদেরকে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় নিত্যদিন। কিন্তু বেশিরভাগ গো সন্ত্রাসীরা ধর্মের আড়াল নিয়ে আইনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যায়। এই খুনি হিন্দুত্ববাদী গো সন্ত্রাসীরা নিত্যদিন নিরীহ মুসলমানদের জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রেফতার করে না বিজেপি শাসিত রাজ্যের গেরুয়া পুলিশ বাহিনী। আর যদি গ্রেফতার করেও ঠিক পরের দিনই তাদের জামিন মেলে আদালত থেকে। আর এমন হত্যাকারী সন্ত্রাসবাদীরা অনেক ভক্তদের কাছে দেবতা হিসেবে পূজ্য। এমন নজির ও দেখা গিয়েছে। আর এই সব কিছুর পিছনে রয়েছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক স্বার্থে সরকারের সুস্পষ্ট মদত এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি পুলিশের উদাসীন মনোভাব এবং প্রচ্ছন্ন সমর্থন। পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করে তাদের আড়াল করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রেফতার করে আক্রান্তদের বা তাদের সঙ্গীদের। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। এক্ষেত্রেও কোনো প্রমাণ ছাড়াই পুলিশের বক্তব্য, সন্ত্রাসীদের হাতে মৃত মুসলিমরা গরু চুরির দায়ে আক্রান্ত হয়েছিল গ্রামবাসীদের হাতে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার ও করেনি।
বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলার সনামুরা মহকুমার বাসিন্দা জায়েদ হোসেন, বিলাল মিয়া এবং সাইফুল ইসলামকে রবিবার ভোরে আগরতলা যাওয়ার পথে উত্তর মহারানিপুর গ্রামে গাড়ি থেকে নামিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। দুইজন সেখানেই সন্ত্রাসীদের আঘাতে মৃত্যু বরণ করেন। একজন তাদের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু একটু দূরে মুঙ্গিয়াগামি নামক গ্রামে তাকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে আরেকদল সন্ত্রাসী। পুলিশের বক্তব্য, তারা একটি মিনি ট্রাকে কিছু গরু নিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ গো সন্ত্রাসীদের। প্রতিবাদে সোচ্চার সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকে বলছেন, উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে জয় পেতে হলে এমন অনেক হত্যাকাণ্ড লাগবে গেরুয়া শক্তির। তাই এমন ঘটনা এখন থেকে আরো বেশি ঘটবে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলোতে।