নিউজ ডেস্ক : ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বিতর্কিত রায়ে এই রাফালে দুর্নীতিতে এখনও কোনো তদন্ত হয়নি। ক্যাগের রিপোর্টেও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান না করে বিশেষ কোড ব্যবহার করে সবার চোখে ধুলো দেয় মোদী সরকার। যে সত্য প্রকাশের ভয়ে এত কিছু করেছে মোদি সরকার এবার সেই সত্য উদঘাটিত হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। কারণ এবার এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে ফ্রান্স। গতকাল ফ্রান্সের ফিনান্সিয়াল প্রসিকিউটর PNF কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা AFP জানিয়েছে এই দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য এক ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতিমধ্যেই নিযুক্ত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট বার বার এই মামলায় PNF এবং দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থার বিরুদ্ধে সত্য গোপনের অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের শেরপা NGO এর তরফ থেকে ৯.৩ বিলিয়ন ডলারের রাফালে চুক্তিতে দুর্নীতি এবং প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়। তার ভিত্তিতেই এই তদন্তের নির্দেশ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে রাফেল বিমান ক্রয় করার জন্য ফ্রান্সের ডাসাউল্ট এভিয়েশনের সঙ্গে কথা বার্তা শুরু করে দিল্লির কংগ্রেস সরকার। ২০১৯ সালের মার্চে যখন এই চুক্তি প্রায় সম্পন্ন হওয়ার মুখে ঠিক তখনই বাধ সাধে আম্বানি ঘনিষ্ট মোদি। তিনি হঠাৎ এপ্রিল মাসে ফ্রান্স সফরে গিয়ে এই চুক্তির ভারতীয় অংশীদার হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা হ্যালের পরিবর্তে বিমান তৈরিতে একেবারে শূন্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রিলায়েন্সকে অন্তর্ভুক্ত করেন। ১২৬ টির পরিবর্তে মাত্র ৩৬ টি বিমান কেনার চুক্তি করে মোদি সরকার। আর বিমানের দাম আগের তুলনায় কয়েক গুন বৃদ্ধি পায়। চুক্তিতে বহু কোটি টাকা দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ ওঠে ফ্রান্স এবং ভারতের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। ভারতের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, এই চুক্তিতে ৬০,০০০০ কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি করেছে মোদি সরকার। মোদি সরকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে তদন্তের দাবি করলে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে তা রুখে দেয়।
এবার ফ্রান্সের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশ দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তদন্ত বিরোধী মোদি সরকারের জন্য প্রবল অস্বস্তির কারণ হবে এটা নিশ্চিত। বিশেষ করে যখন আগামী বছর উত্তর প্রদেশ সহ অন্তত ৫ টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে।