চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই তাঁকে কম্পালসরি রিটায়ারমেন্ট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই এবার উত্তর প্রদেশ ক্যাডারের প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অমিতাভ ঠাকুর যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন৷ এ দিন অমিতাভ ঠাকুরের নিজেই এই ঘোষণা করেছেন৷
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথ যে কেন্দ্রেই দাঁড়াক না কেন, সেখানেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অমিতাভ ঠাকুর। তিনি বলছেন, এ তাঁর আদর্শের লড়াই। কে অমিতাভ ঠাকুর? আইপিএস অফিসার ছিলেন, তাঁর অভিযোগ ভুলভাল কারণ দেখিয়ে জোর করে তাঁকে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করেছে কেন্দ্র সরকার, যার নেপথ্যে যোগীই। যোগীর আমলে উত্তরপ্রদেশে অগুনতি বেআইনি এবং অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড হয়েছে, তার অবসান ঘটাতেই যোগীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়বেন অমিতাভ ঠাকুর। সরকার পক্ষের সঙ্গে এই আইপিএস অফিসারের বিরোধ শুধু যোগীর আমলে, তা কিন্তু নয়। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সময়েও একই সমস্যা হয়েছিল। সর্বসমক্ষে মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে কাজে বাধা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ঠাকুর। ফল ভুগতে হয় হাতেনাতে। সাসপেন্ড হন তিনি এবং তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তদন্ত করা হয়। সে যাত্রা সব অভিযোগ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে কাজে পুনর্বহাল হন ঠাকুর। এরপর রাজ্যে পালাবদল হয়, কিন্তু আইপিএস অফিসারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। যোগী সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা শুরু করেন তিনি। বিবাদ চরমে উঠলে তাঁকে আনফিট দেখিয়ে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ানো হয়। চাকরির মেয়াদ কিন্তু ছিল ২০২৮ পর্যন্ত। অমিতাভ ঠাকুর এখন লক্ষ্য নিয়ে চলছেন। বিধানসভা নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে লড়া। আইপিএস অফিসারের ‘আদর্শের লড়াই’ কেমন ফল দেয় তা জানতে এখনও বছরখানেক অপেক্ষা করতে হবে।