মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীতে গ্রামে নদীর জল ঢুকে প্লাবিত এলাকা। সমস্যায় এলাকাবাসী

বিশ্বজিত কর্মকার, ইসলামপুরঃ মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিতানগর এলাকার প্রায় ১২০ ঘর মত এখন জলের তলায়। বাড়ির উঠুন থেকে রান্নার ঘর,বাথরুম সব জায়গা থৈ থৈ করছে জলে। আর তাই সিতানগর গ্রামের অধিকাংশ গ্রামবাসী আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে।

জলঙ্গির প্রায় এক পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে পদ্মা নদী। আর পদ্মা নদীতে জল বাড়লেই সমস্যায় পড়তে হয় সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামবাসীদের। সিতানগর গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন,গত ৪/৫ দিন থেকেই আস্তে আস্তে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আর এই কই দিনেই কোথাও বা হাঁটু জল,কোথাও কোমর ডুবছে জলে।
ইতিমধ্যেই ১২০ ঘর মত ডুবেছে ওই বানের জলে। তবে এখনও বেশ কিছু ঘরের কাছেই এসে পৌঁছেছে জল। আগামী কয়েক দিনে সেসব বাড়ি গুলিও ডুববে নদীর জলে বলে জানাচ্ছেন তারা।
তবে শুধু ঘর বাড়িই নয়,কৃষি জমিও ডুবেছে ওই জলে। লঙ্কা,পটল,ধান ছাড়াও আরও নানান কৃষি জমি ডুবেছে বন্যার জলে।

গ্রামে জল ঢুকতেই সিতানগর গ্রামের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সাহেব নগর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে আশ্রিত এক মহিলা আলিয়া বিবি বলছেন ”  বাচ্চা ,বাড়ি ঘর নিয়ে খুব সমস্যায় আছি আমরা। গত তিন দিন থেকে এখানে রয়েছি খাওয়া দাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। আজ শুনলাম নাকি রান্না করছে। একবার ভাবুন তো কিভাবে দিন কাটাচ্ছি আমরা। ”
এদিন শুক্রবার ওই এলাকা পরিদর্শনে আসেন জলঙ্গির বিডিও শোভন দাস। তিনি বলেন ,” কিছু দিন আগে ফরাক্কাই জল ছাড়ার জন্য পদ্মার জলস্তর একটু বেড়েছে ফলে এখনে কয়েকটা গ্রামে জল ঢুকেছে। আমরা সেসব গুলোই দেখতে এসেছি সেমত রিপোর্ট পাঠাব জেলাতে। এছাড়াও আমরা দেখছি ব্যাপারটা নিয়ে এখানে যদি একটা বাঁধ নির্মাণ করা যায় তার ফলে যদি গ্রামের দিকে জল না ধঢোকে তবে গ্রামবাসী উপকৃত হবে।”

Latest articles

Related articles