ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অভ্যন্তরে স্পিকার একটি ঘর নামাজের জন্য বরাদ্দ করেছেন। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিবাদে মুখর বিজেপি। অবিলম্বে ওই ছাড়পত্রের প্রত্যাহার, নয়তো বিধানসভার অন্দরের মন্দির সহ অন্যন্য ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরিরও ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদকে কেন্দ্রকে বিধানসভার বাইরে ও ভিতরে হৈচৈ হয়। যার জেরে অধঘিবেশন সাময়িক মুলতুবি করে দেওয়া দেন স্পিকার।
তাঁরা দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে পর্যন্ত আলাদা করে ইবাদত করার ঘর থাকে। তাহলে কেন বিধানসভায় থাকবে না। কানপুরে এক বিধায়ক দাবি করেছেন, গত ১৫ বছর ধরে তিনি বিধায়ক রয়েছেন। অধিবেশন চলার সময় তাঁদের নমাজ পরার জন্য বিধানসভা েথকে বেরিয়ে মসজিদে যেতে হয়। যদি বিধানসভার মধ্যেই একটি নমাজ পড়ার কক্ষ বরাদ্দ করা হয় তাহলে আর অধিবেশন অংশ না নিয়ে নমাজ পড়তে যেতে হয়না তাঁদের। এতে সুবিধা হয় সকলেরই।
বিজেপি এই সমস্যাটি হাউসের মধ্যে নিয়ে আসবে এবং বিধানসভার বাইরেও আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছে।এদিকে, স্পিকার রবীন্দ্র মাহাতো বলেন, এই পদক্ষেপ সম্পর্কে নতুন কিছু নেই কারণ অবিভক্ত বিহারের সময় থেকে একই ধরনের ব্যবস্থা ছিল।“শুক্রবার, নামাজের জন্য বিধানসভা আধ ঘণ্টা আগে মুলতবি করা হয়। পুরনো বিধানসভা ভবনে, নামাজের ব্যবস্থা এবং জায়গা ছিল। যেহেতু হাউসটি একটি নতুন বিধানসভা ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং নামাজের জন্য কোন জায়গা চিহ্নিত করা হয়নি, একটি ঘর এখন বরাদ্দ করা হয়েছে,” রবীন্দ্র মাহাতো বলেন।
রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রী হাফিজুল আনসারী নামাজের জন্য ঘর বরাদ্দকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্পিকারের সিদ্ধান্ত “পুরোপুরি ঠিক,সংখ্যালঘু মন্ত্রীরা খুব কষ্টে তাদের কেবিনে নামাজ পড়তেন। তাদের বাসভবনে ফিরে যাওয়া এবং অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে ফিরে আসা ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প ছিল না। বিজেপির চরিত্র সকলের কাছে সুপরিচিত। এটি সর্বদা নজরদারিতে থাকে। ধর্মের সাথে যুক্ত তুচ্ছ বিষয়ে রাজনীতি করতে,”।