স্বস্তি শাসকদলের!‌ ভবানীপুরে ভোট যথাসময়েই, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

 

নিউজ ডেস্ক : ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলায় কমিশনকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে ভোটে কোনও বাধা নেই বলেই আদালত জানিয়েছে। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আইনি জটিলতায় জড়ায় এই প্রক্রিয়া। আদালতে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলারই রায়দান হল মঙ্গলবার।

ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়, সেখানে (বিবৃতির ছ’ নম্বর অনুচ্ছেদে) উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কোনও ভাবেই ভোটের কেন্দ্রে প্রভাব ফেলবে না। একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে।’

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। শুধু অভিযোগ তোলাই নয়, কেন শুধুমাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানো হচ্ছে না সেই বিষয়ে তাঁরা দলের এক সমর্থককে দিয়ে মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, শুধুমাত্র কেন একটি কেন্দ্রেই নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলায় কমিশনের কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কমিশন সেই হলফনামা জমাও দেয়।অকিন্তু তাতে খুশি হয়নি আদালত। একইসঙ্গে মামলাকারীদের তরফে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করেছে। শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্য এই ভাবে সুপারিশ করা যায় কি? এই প্রশ্নের জেরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এদিন আদালতও প্রশ্ন তুলেছে।

Latest articles

Related articles