এনবিটিভি ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ছাত্রবৃন্দের পরিচালনায় সাড়ম্বরে উদযাপিত হল নবীন বরণ অনুষ্ঠান।
গত প্রায় দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে পঠনপাঠনের কাজ চলে আসছিল।এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনই একমাত্র সম্বল ছিল, শুধুমাত্র করোনা মহামারীর ভয়ে।
দেখা নাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।তবে অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে যোগসূত্র স্থাপন করতে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে এই মহামারীর সময়।
উল্লেখ্য,রাজ্য সরকারের নির্দেশে করোনা বিধি মেনে চলতি বছরে গত ১৬ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠান পুনরায় চালু হয়। সশরীরে উপস্থিত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে পার্ক সার্কাস সিটি ক্যাম্পাসে সেমিনার হলে, কোরআন শরীফ পাঠের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।সকাল থেকে অনুষ্ঠানের কর্মসূচী শুরু হয়। এদিন নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি সাড়ম্বরে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠান মঞ্চে আরবি বিভাগের নবাগত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরিচয় দিয়ে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য কি আছে তা সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নেয়। অনেকেরই জীবনে আরবী ভাষা নিয়ে গবেষণা করতে।কেউবা সমাজ সেবার জন্য ইউপিএসসি কিংবা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কথা শেয়ার করে।
অনুষ্ঠানের মাঝে বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রী আরবী ও বাংলা গজল,কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নবাগত ছাত্র ছাত্রীদেরকে ডায়রি,পেন ও গোলাপ দিয়ে বরন করে স্বাগত জানান হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের গবেষকরাও । এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপকদের কেও বরন করা হয়।
বিভাগীয় প্রধান ড: মশিহুর রহমান সমাগত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্য মূল্যবান বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যর মাঝে বলেন, “জীবনের মূল্যবন সম্পদ হলো ‘ধৈর্য্য’,যারা ‘ধৈর্য্য’ ধরতে পারে তারা অবশ্যই সাফল্য অর্জন করতে পারে।” সর্বশেষ বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্যর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তী ঘোষণা হয়।