সুরজিৎ দাস, নদিয়াঃ রাজনৈতিক নেতা মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দামি গাড়ি, সঙ্গে একাধিক মানুষজন সবসময় ঘিরে থাকবে তাকে। কিন্ত তাহেরপুর পৌরসভার পৌরপিতার জীবনযাপন পুরো অন্যরকমের। রোজ নিজের সাইকেল চড়ে যাচ্ছেন পৌরসভায় তাঁর পেছনেই সাইকেল চড়ে আসছেন তাঁর দেহরক্ষিও।এইরকম চিত্র দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাহেরপুরবাসী।
উল্লেখ্য, পৌর্নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড় উঠলেও একমাত্র তাহেরপুর পৌরসভা গেছে বামেদের দখলে। আর এরই মধ্যে অতি সাধারনতার জন্য তাহেরপুর বাসীর মন জয় করে নিয়েছেন পৌরপিতা উত্তমানন্দ দাস।হাতে সাইকেল, পরনে সাধারণ পোশাক। সাইকেল চালাতে চালাতেই পথচলতি মানুষ দেখলেই দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। সঙ্গে দেহরক্ষী তিনিও সাইকেল চালিয়ে পিছনে ছুটছে।এভাবে প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন অফিসে।এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ছোট পৌরসভা তাই অগ্নিমূল্য পেট্রোলের দাম কিছুটা বাঁচিয়ে সাধারণ মানুষের যাতে কাজে লাগে সেই লক্ষ্যেই পৌরসভার গাড়ি ব্যবহার করছেন না”।
এর আগেও তিনি কাউন্সিলর ছিলেন। হাতে গোনা কয়েক দিন চেয়ারম্যানের কাজ সামলানো শুরু করেছেন।বাড়ি থেকে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই বের হচ্ছেন পৌরসভার উদ্দ্যেশে।দামি পৌরসভার গাড়ি ব্যবহার না করে সাইকেল নিয়ে দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভায় আসছেন। বিভিন্ন জায়গায় ভিজিটে যাচ্ছেন সাইকেলে করেই। তিনি বলেন, “পেট্রোলের দাম যেভাবে অগ্নিমূল্য সেই কারণেই যদি পেট্রোল কিছুটা অপচয় বন্ধ করে সেই অর্থ সাধারণ মানুষের কাজে লাগাতে পারি সেই লক্ষ্যেই আমি গাড়ি ব্যবহার করছি না”। পৌরসভার গাড়িচালক শংকর দাস বলেন, “প্রথম দিন আমি নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম নব নির্বাচিত মেয়রকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে পরিষ্কারভাবেই না করে দেন। সাইকেলে করেই অফিসে আসবে বলে জানিয়ে দেন তিনি”।যদিও এই বিষয়ে তাহেরপুর শহরের তৃণমূল সভাপতি পরিতোষ ঘোষ বলেন, “এটা সম্পূর্ণ লোকদেখানো। সবে তিনি পৌরসভার দায়িত্ব পেয়েছেন। এরপর দেখা যাক কতটা মানুষের পাশে থাকতে পারেন”।