
ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব ধরনের পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (২ মার্চ) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ইসরায়েল সম্মত হলেও, হামাস তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে, আজ সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় হামাস একে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আলোচনা প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী কোনো ধরনের চাপের সামনে মাথা নত করবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরু হয়, যার প্রথম ধাপের মেয়াদ ছিল ৪২ দিন। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়, যা হামাস প্রত্যাখ্যান করে। ফলে, ইসরায়েল গাজায় পণ্য প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পরিস্থিতিতে গাজার জনগণ, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে, মানবিক সংকটে পড়তে পারে। হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।