সলিল চৌধুরী পরবর্তী যুগে বাংলা তথা ভারতের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একনায়ক আধিপত্য যদি কেউ বিস্তার করে থাকেন তাহলে সেটা তিনি। তার অনুরাগীদের উপস্থিতি, ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে গেছে গোটা বিশ্বে ।

সারাদিনব্যাপী উপোস করে পবিত্র রমজান পালনের মাধ্যমে এখন উপাসনায় মগ্ন মুসলিম ভাই-বোনেরা। রমজান শেষে আসতে চলেছে ঈদ। এই খুশির উৎসবে প্রিয়জনদের উপহার দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে স্বনামধন্য জীবন্ত কিংবদন্তি কবীর সুমন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে, ঈদের আগে নিজেকেই ‘দীনের’ উপহার দিলেন ।

গতকাল সমাজমাধ্যমে করা একটা পোস্টে তিনি মৃত্যুর পর কবরস্থ হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন। এর আগে যদিও তার দেহ দানের ইচ্ছা ছিল, বামপন্থী মানসিকতা থেকে।

তার এই সিদ্ধান্তকে নেটিজেনদের একাংশ কুর্নিশ জানালেও, কিছু সংখ্যক মানুষ চূড়ান্ত সমালোচনাও করেছেন । বাংলা খেয়ালের একনিষ্ঠ ছাত্র, এবং নিজেকে বাংলা সংগীতের ‘গোলাম’ বলে দাবি করা কবীর সুমন এনবিটিভি কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “মৃত্যু পরবর্তী তার এই বাসনা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।” সমালোচকদের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি সমাজ মাধ্যমে খুব একটা থাকি না। আমার কাছে ঘটনা প্রসঙ্গে এখনো কোনো সমালোচনা চোখে পড়েনি।” তিনি এও জানান, “জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। আমার প্রাণের শহর কলকাতায় কবরস্থ হওয়ার বাসনা থাকতেই পারে, তাই না?”

তিনি কবীর সুমন। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তাইতো আজও তিনি বলার স্পর্ধা রাখেন, “আমি ধর্মে মুসলমান, আছি লালনের সঙ্গে।”