
১১ মার্চ ২০২৫, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে হাইজ্যাক করেছে, যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী এই ট্রেনটি বোলান জেলার পার্বত্য এলাকায় পৌঁছানোর সময় এই হামলা ঘটে।
প্রথমে, বালোচ লিবারেশন আর্মির সেনারা টানেল নম্বর ৮ এর কাছে রেলপথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করে। পরে তারা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার ফলে ট্রেনের চালক আহত হন। পাহাড়ি এলাকা ও একাধিক টানেলের কারণে ট্রেনটির গতি কম ছিল, যা এই ধরনের হামলার জন্য সুবিধাজনক ছিল।

বিএলএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, বন্দিদের মধ্যে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, পুলিশ, এন্টি-টেররিজম ফোর্স (এটিএফ) এবং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সক্রিয় সদস্যরা রয়েছেন, যারা ছুটিতে পাঞ্জাব যাচ্ছিলেন। গোষ্ঠীটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি পাকিস্তানি বাহিনী কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তবে সব বন্দিকে হত্যা করা হবে।
বিএলএ আরও জানিয়েছে যে, তারা নারী, শিশু এবং বালোচ যাত্রীদের মুক্তি দিয়েছে, যাতে বাকি বন্দিরা স্বাধীনতাকামী বালোচ লিবারেশন বাহিনীর কর্মরত সদস্য হয়।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যে দুর্গম বোলান জেলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে দাবী করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার বেলুচিস্তানে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ করছে বলে সে দেশের নাগরিকদের আশ্বাস দেওয়ার চেষ্ঠা করছে।

বিএলএ দীর্ঘদিন ধরে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী ও অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। এই ঘটনা তাদের কৌশলে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে, যা অঞ্চলের চলমান অস্থিতিশীলতাকে তুলে ধরে।
পরিস্থিতি উন্নয়নের সাথে সাথে, বন্দিদের নিরাপত্তা এবং সম্ভাব্য আরও সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।