
গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ৯০ জন নিহত হয়েছে এবং চলমান যুদ্ধে প্রভাবে মানবিক সংকটও চরমে পৌঁছেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শনিবার গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা করেছেন। তার মতে, হামাস উৎখাত, বন্দিমুক্তি এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র থেকে বিরত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন তিনি। তার এই রনোংদেহী মনোভাব ও বক্তব্যবের কারনে ইসরায়েলের ভেতরেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে তীব্র জনঅসন্তোষ বাড়ছে। বন্দিদের পরিবার, সেনা রিজার্ভ ও অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যরা অভিযানের দীর্ঘায়িত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, বিশেষ করে গত মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দিনে ইসরাইলের বিমান হামলায় ৯০ জনের বেশি সাধারণ নাগরিক বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। খান ইউনিসে এক হামলায় ১১ জন নিহত হন। এছাড়া, ইসরাইল কর্তৃক মানবিক অঞ্চল ঘোষিত মুয়াসি এলাকায় শিবিরে থাকা বাস্তুচ্যুতদের ওপর হামলায় কয়েকজন মারা যান। রাফাহ শহরে এক নারী ও তার কন্যাসহ চারজন এবং নুসাইরাত এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শুক্র-শনিবার হামাসের ৪০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এসময় গাজা সিটির আল-তুফফাহ এলাকায় হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের একটি হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। এদিকে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি উপেক্ষা করে ইসরাইল নিরাপত্তা অঞ্চল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা জানিয়েছে। পাশাপাশি, ছয় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও জরুরি সরবরাহ বন্ধ রাখায় মানবিক বিপর্যয় তীব্র হয়েছে। সহায়তা সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অধিকাংশ মানুষ দিনে এক বারের বেশি খাবার পাচ্ছে না। জাতিসংঘ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন।