গণপিটুনির আইন তৈরি করার দাবি আব্বাস সিদ্দিকীর

গণপিটুনির আইন তৈরি করার দাবি আব্বাস সিদ্দিকীর

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বজুড়ে যখন করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তখন‌ও ভারতবর্ষে ধর্মীয় বিভাজনের রোষানল থেকে বেরোতে পারেনি একশ্রেণীর উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষেরা। লকডাউন চলাকালীন গত শনিবার রাতে হুগলির চন্দননগরের তেলেনিপাড়ায় একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব মসজিদে ঢুকে অশালীন সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু সেখানকার আপামর জনসাধারণ কোনোরূপ প্ররোচনার ফাঁদে পা দেননি। বরং হিন্দু মুসলিম সৌভাতৃত্বের নজির স্থাপন করে দেখিয়েছেন তারা। তবে এবিষয়টি নিয়ে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এহেন কার্যকলাপের বিরোধিতা করলেও হিন্দু মুসলিম সৌভাতৃত্বের নিদর্শনকে রীতিমতো কুর্ণিশ জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের পালঘার থানা এলাকায় একদল মানুষ দুইজন সাধু সহ একজন ড্রাইভারকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। সেই ভিডিও ফুটেজ রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এদিন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী সাহেব। তিনি বলেন “আমি একজন মুসলিম ধর্মগুরু হিসাবে এহেন নিন্দনীয় ঘটনাকে দেশের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক বলে মনে করি, কখন‌ই কোনো অবস্থায় এইধরনের গণপিটুনিতে হত্যা কাম্য নয়। মানুষ দোষী হলে অবশ্যই দেশের সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার দারস্থ হন।” যদিও এই বিষয়টি নিয়ে নোংরা রাজনীতি ও ধর্মব্যবসায়ীদের একাংশ সাম্প্রদায়িক সমীকরণ করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পালঘার পুলিশ স্টেশনের অফিসিয়াল ট্যুইট বার্তা ও মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও ফুটেজে এইধরনের কোনো সংবাদ মেলেনি। বরং চক্রান্ত কারীদের মুখে চুনকালি পড়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সুরক্ষার স্বার্থে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেভাবে মানুষ গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন সেজন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে আইন তৈরীর দাবি জানিয়েছেন ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী আল কোরাইশী।

Latest articles

Related articles