এনবিটিভি ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন সফরে মহারাষ্ট্রের রাজধানী শহরে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি এনসিপি এবং শিবসেনার নেতাদের সাথে সাক্ষাতও করেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের রসায়ন কেমন হতে চলেছে তা আলোচনা হয় বলে জানা যায়। বিশেষ করে তিনি কংগ্রেস প্রবীণ নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখাও করেন। মুম্বাই সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায় ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের পরে শারদ পাওয়ার টুইট করে বলেন,“আমার মুম্বাইয়ের বাসভবনে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করে আমি আনন্দিত। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং আমাদের জনগণের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছি।”
https://twitter.com/PawarSpeaks/status/1465990146126344200
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করে বলেন যে,“বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ‘ফ্যাসিবাদের’ মতো আচরণ করছে । এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি দৃঢ় বিকল্প পথ তৈরি করা উচিত।”
সূত্রের খবর,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“সমস্ত আঞ্চলিক দল যদি একত্রিত হয় তবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরাজিত করা খুব সহজ হবে।”
মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এবং আদিত্য ঠাকরের সাথে দেখা করেছেন।
উল্লেখ্য, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“চলমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কেউ লড়াই না করে একটি দৃঢ় বিকল্প পথ তৈরি করা উচিত। শারদ জি হলেন সবচেয়ে সিনিয়র নেতা এবং আমি আমাদের রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। শারদজি যা বলেছেন আমি তার সাথে একমত। কোনও ইউপিএ নেই।”
প্রসঙ্গত, ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ এলাইন্স (ইউপিএ)অর্থাৎ সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট হচ্ছে ভারতের প্রধানত মধ্য ও বাম রাজনৈতিক দলগুলির একটি জোট । এই জোটের সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর শরিক দল হিসেবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এই জোটের নেতৃত্ব প্রদান করছে।