নিউজ ডেস্ক : দিল্লিতে বিজেপির আগমনের পর থেকেই সারা দেশজুড়ে আযানের বিরুদ্ধে এক নয়া ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে। দুর্গাপূজা, কালীপূজা, গণপতি, থার্টি ফার্স্ট নাইট, বড়দিন, অসংখ্য রাজনৈতিক জনসভা, মিউজিক কনসার্ট, কীর্তন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উচ্চমাত্রার লাউডস্পিকার ব্যবহারেও যারা এতদিন পর্যন্ত কোন আওয়াজ করেননি এবং এখনো নির্দ্বিধায় খুশি মনে গ্রহণ করে যাচ্ছেন নিজেদের ইন্দ্রিয়ের ওপর এইসব অনুষ্ঠানগুলির নিত্য অত্যাচার তারাই প্রায় সব সময় অভিযোগ করছেন, তিন মিনিটের আজানের কারণে তাদের কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের মানসিক বিকৃতির ও কাজে অমনোযোগিতার, ঘুমের ব্যাঘাতের। তাই বিভিন্ন জায়গায় এই হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছে লাউডস্পিকারে আযান দেওয়া। যে কারণে সমস্যায় পড়েছেন কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ ভারতীয় মুসলমান। তাই এবারে এই বিষয়ে নতুন পরামর্শ নিয়ে হাজির হলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি এবং ইসলামিক স্কলার মাওলানা সাইফুল্লাহ রহমানি।
তিনি বেশকিছু টুইটের মাধ্যমে এই ব্যাপারে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, যে সমস্ত জায়গায় অনেকগুলি মসজিদ রয়েছে সেখানে একটি বড় মসজিদের মাইক থেকে থেকে নিয়ন্ত্রিত আজান দিলেই আমাদের সুবিধা হবে। সে ক্ষেত্রে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যাতে মসজিদের মাইকের আযানের আওয়াজ মহল্লার প্রত্যেকটি মুসলিম বাড়িতে সঠিক সময়ে পৌঁছে যায়। এক্ষেত্রে মহল্লার অন্যান্য মসজিদগুলো মসজিদের ভিতরে বা বাইরে লাউডস্পীকার মাইক ব্যবহার না করে আযান দিতে পারে।
তিনি টুইটারে লেখেন, বর্তমান সময়ে দেখা গেছে একটি ওয়াক্তের জন্য বারবার বিভিন্ন মসজিদের আজান শুনেও মসজিদে মুসল্লী সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না। বরং যারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসে তারা একটা আজানেই মসজিদে পৌঁছে যায়। তাই মহল্লার একটি বড় মসজিদ থেকে আজান হলেই সেটা সুবিধাজনক হবে সবার জন্য। এছাড়াও বিশেষ ক্ষেত্রে বর্তমানে আধুনিক যুগের অন্যতম মূল উপকরণ স্মার্টফোনের মাধ্যমে আজানের সময় নির্ধারণ এবং নিজেদেরকে সজাগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য কর্নাটকে ইতিমধ্যেই লাউডস্পিকারে আযান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে। গুজরাট মধ্যপ্রদেশ উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে প্রাত্যহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য মসজিদের মাইকে আযান দেওয়ার পর।