আসামের সব সংবাদপত্রে একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে বিজেপির নিশ্চিত জয়ের পূর্বাভাস! কমিশনে কংগ্রেস

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচনের সময়ে গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে । এবার আসামে তার ব্যতিক্রম কিছু দেখা গেল না। গত শনিবার নিম্ন আসামের উজানের বহু কেন্দ্রে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়। ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ রবিবার আসামের শীর্ষস্থানীয় ৮টি সংবাদপত্রে ছাপা হয় একটি খবর যাতে বলা হয়, প্রথম দফায় যে সমস্ত আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে সবগুলো কেন্দ্রে বিজেপির জয় নিশ্চিত। এটি আদতে কোন খবর না বিজ্ঞাপন তার কোনো সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না কোনো সংবাদপত্রে। যদিও বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হইচই শুরু হওয়ার পর বিজেপি এবং সংবাদপত্র গুলির তরফ থেকে বলা হয় এগুলি আদতে বিজেপির দেওয়া বিজ্ঞাপন। কিন্তু তা হলেও এটি নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির লংঘন। কারণ নির্বাচন কমিশনের নীতি অনুসারে নির্বাচন চলাকালীন কোনভাবেই কোন দল নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে তার পূর্বাভাস দেওয়া যাবে না। ইতিমধ্যেই বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে কংগ্রেস। কেন এই বিষয়টির জন্য আসাম বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে না এবং কেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিক কে অপসারণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে।

 

 

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্টভাবে নির্দেশ জারি করে ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের (Assam Election) ফলাফল সম্পর্কে কেউ কোনওরকম মন্তব্য বা ধারণা দিতে পারবে না। নির্দেশ অমান্য করা হলে ১৯৫১ সালের রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্টের ১২৬ (এ) ধারা অনুযায়ী অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে এবং অসমের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করেছে। অসম পুলিশ (Assam Police) অবশ্য আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে দিসপুর থানায় রবিবার রাতে এফআইআর করেছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস-সহ আট বিজেপি নেতার নাম রয়েছে এফআইআরে।

Latest articles

Related articles