এনবিটিভি ডেস্কঃ সম্প্রতি ভারত-চীনা সীমান্তের চীনা সৈন্যদের বাড়বড়ন্ত খবরের পর দেশের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। তার পরেই এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সোমবার ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিন্দা করে বলেন, “ভারত-চীন সীমান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন করা জরুরী বলে মনে করছি।”
ওয়াইসি একের পর এক টুইটে ভারত-চীন সীমান্ত ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, “সীমান্ত অঞ্চলে চীনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ভবিষ্যতের জন্য অশুভ। এটি অস্ত্র ও সৈন্যদের ব্যাপক মোতায়েন দেখা গেলে এই এলাকায় বড় চীনা সামরিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। এটি একটি গুরুতর বিষয় যা সংসদের বিশেষ অধিবেশন করা খুবই জরুরী। আবারও চীন সীমান্ত সংকটে আছে বলে মনে করছি। এই বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানাই।”
ভারত-চীন সীমান্তে চীনা সৈন্যদের দুরন্তপনা উল্লেখ করে ওয়াইসি বলেন, “চীন সীমান্ত এলাকায় নতুন নতুন গ্রাম তৈরি করছে। তারা আমাদের সংসদ সদস্যদের চিঠি পাঠাচ্ছে। এই সমস্ত কারজ ভিডিও গালওয়ানে পতাকা নেড়েছে। আমাদের প্রতিক্রিয়া হল মিষ্টি বিনিময় করা। লাদাখে চীনারা এসে দখল করেছে। এই চ্যালেঞ্জের জন্য সমগ্র ভারতের সাড়া দরকার যা এই অজ্ঞ, বিভাজনকারী এবং দুর্বল সরকার দিতে অক্ষম।”
সামরিক অচলাবস্থার ২০মাসেরও বেশি সময় ধরে, চীন লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের বিপরীতে প্রায় ৬০০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং LAC-তে চীনা বাহিনীর দ্রুত চলাচলে সহায়তা করার জন্য তার অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।
“গ্রীষ্মের মৌসুমে চীনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল কারণ তারা গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যক সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তারা এখন তাদের পিছনের অবস্থানে ফিরে গেছে।
এএনআই সূত্রে জানাগিয়েছে, “তারা এখনও লাদাখের বিপরীত অঞ্চলে প্রায় ৬০০০০সৈন্য রক্ষণাবেক্ষণ করছে,এলএসি জুড়ে অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রাখার কারণে চীনা পক্ষ থেকে হুমকির মুখে পড়তে পারে ভারতীয়রা।”