দুঃসংবাদ! পেট্রোপণ্যে জিএসটির প্রস্তাব খারিজ, আপাতত কমছে না পেট্রোল-ডিজেলের দাম

 

 

নিউজ ডেস্ক : সুখবর মিলল না। আপাতত জিএসটির আওতায় আসছে না পেট্রল-ডিজেল। যার ফলে দাম কমার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যের পক্ষ থেকে পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটি’র আওতায় আনার বিরোধিতা করা হয়। যার ফলে দেশের আমজনতার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা থমকে দাঁড়াল।

গত কয়েক মাস ধরেই দেশে পেট্রল ও ডিজেলের দাম চড়চড় করে বেড়ে চলেছে। একাধিক শহরে সেঞ্চুরি পার করেছে পেট্রলের দাম। আর যার প্রভাব এসে পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপরে। হু-হু করে বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। নাভিঃশ্বাস উঠেছে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের। দেশের বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে একাধিকবার পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি মোদি সরকার। বরং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলোর মুনাফা লোটার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষই মদত দিয়ে গিয়েছে।

কিছুদিন আগে পেট্রোলিয়াম দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, দু’ জনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবার পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে পারে কেন্দ্র। ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র সরকার শুরু থেকেই পেট্রল এবং ডিজেলকে জিএসটি কাউন্সিলের আওতায় আনার পক্ষে। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। তবে, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই জিএসটি কাউন্সিলকে নিতে হবে। অন্যদিকে নির্মলা জানিয়েছিলেন, পেট্রোপণ্যের উত্তরোত্তর মূল‌্যবৃদ্ধি উদ্বেগজনক। দাম কমাতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। তবে সেটা নির্ভর করছে জিএসটি কাউন্সিলের উপর।

কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বললেও এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। কারণ, জিএসটি কাউন্সিলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরাও আছেন। পেট্রোপণ্যকে পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় আনতে চাইলে রাজ্যগুলি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। আজ সেই আশঙ্কায় সত্যি হল। এমনিতেই পেট্রোপণ্যে রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি কর পায় কেন্দ্র। তার উপর জিএসটির আওতায় এলে রাজ্যের লভ্যাংশ আরও কমবে।

Latest articles

Related articles