
উত্তরপ্রদেশ সরকারের ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী। তিনি এই পদক্ষেপকে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন। মায়াবতী জোর দিয়ে বলেছেন, ধর্মীয় উৎসবের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারের নিয়ম সকল ধর্মের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা উচিত। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ধরনের পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ সরকার সম্প্রতি উচ্চস্বরে লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় স্থানে মাইকের শব্দ সরকার নির্ধারিত মানের থেকে বেশি হলে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য জুড়ে ৬১,৩৯৯টি মাইক পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭,২৮৮টির ভলিউম কমিয়ে মান অনুযায়ী আনা হয়েছে এবং ৩,২৩৮টি মাইক সরানো হয়েছে।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাসে এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রমজান মাসে মুসলিমরা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী জানাতে এবং তারাবির নামাজের জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে লাউডস্পিকার ব্যবহারে বিধিনিষেধ তাদের ধর্মীয় কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মায়াবতীর এই বক্তব্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিধ্বনি তুলেছে, যারা মনে করছেন যে এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার লঙ্ঘন করছে। তারা আশা করছেন, সরকার এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে এবং সকল ধর্মের প্রতি সমান আচরণ নিশ্চিত করবে, যাতে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে।