এনবিটিভি ডেস্কঃ জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাজ্যে এবার পড়ুয়াদের ভাগবত গীতার শ্লোক আওড়ানোর ব্যবস্থা করল গুজরাট রাজ্য সরকার। আজ শুক্রবার গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে পাঠ্যসূচিতে থাকবে গীতা এমনটাই জানিয়েছেন।
গীতার কঠিন দর্শন নিয়ে হয়তো সহজ করে রচনাও লিখে ফেলবে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গুজরাটের স্কুলে পড়ানো হবে ভাগবত গীতা। জুন মাস থেকে গুজরাট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের অন্তর্গত সব স্কুলে ভাগবত গীতা পড়ানো হবে।
গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাগানি জানালেন, “সব ধর্মের মানুষই মেনে নিয়েছেন হিন্দু ধর্মের পবিত্র ভাগবতে লেখা নীতিশিক্ষা। জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) মেনেই এবার স্কুলে পড়ানো হবে এই ধর্মগ্রন্থ। জাতীয় শিক্ষা নীতির লক্ষ্য বাচ্চাদের প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিষয়ে পাঠদান।”
রাজ্যের একটা ধর্ম গ্রন্থ কেন স্কুলের পঠন পাঠনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হিন্দু ধর্মের পাশাপাশী অন্যান্য ধর্মের পাঠদান না করলে সেটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই নয়। প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। একদিকে অনেক রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ধর্মীও শিক্ষার কারনে। আবার সেই রাজ্যে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ দান করার জন্য ব্যবস্থা করছে।
একদিকে হিজাব এক মুসলিম নারী হিজাব পরাতে ধর্মীয় প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য তাকে স্কুলের মধ্যে হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাবেনা। লেলিয়ে দেওয়া হল হিন্দুত্ববাদী কিছু পড়ুয়াদের। অন্যদিকে গীতা পাঠ করান যাবে সেটাতে কোন প্রভাব ফেলবেনা। এই সিদ্ধান্ত গুলো হিন্দুত্ববাদের বীজ পন করা ছাড়া কিছুই নয়।
সঠিক অর্থে প্রগতিশীল দেশ তৈরি করতে উদার হতে হবে। অন্য ধর্মের গোলা টিপে শেষ করে নয়। ভারতের ব্যাপারে বিদেশে বললেই এক কোথায় মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা কথা মুখে শোনা যায়। শোনা যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে। সেখানে আজ একটা ধর্মের মানুষকে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে রাখার জন্য তাদের একটুকরো কাপড়ের অজুহাত দেখান হচ্ছে। এটা মহাত্মা গান্ধির দেশ বলে মনে হয় না যেটা গান্ধীর স্বপ্ন ছিল।