মাদক-কান্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, বিজেপির মদতেই গ্রেফতার আরিয়ান!

এনবিটিভি ডেস্ক: মাদক-কান্ডে শাহরুখ- পুত্র আরিয়ান খানের গ্রেফতারের পর তোলপাড় দেশজুড়ে। এরই মধ্যে সম্প্রতি একই ইস্যুতে তৈরি হল নয়া বিতর্ক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করে হাতধরে নিয়ে যাচ্ছেন ২ জন। জানা গিয়েছে, তারা কোনো এনসিবি-র আধিকারিক নন, বিজেপি নেতা। তবে কি করে তাঁদের গ্রেফতার করতে পারেন তাঁরা? সূত্রের খবর, ২রা অক্টোবর মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর রেভ পার্টি থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ তনয়-সহ ৭ জনকে। গ্রেফতার হলেও নাকি আরিয়ানের কাছে পাওয়ায় যায়নি মাদক। বিজেপির মদতেই নাকি গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

এই প্রথম নয়, এর আগে বিদেশে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরছিলেন শাহরুখ খান। কিন্তু মুম্বই বিমানবন্দরে পা দিতেই মহা বিপদে পড়েন বলিউডের সুপারস্টার কিং খান। কারণ শাহরুখ খানকে সেই সময় আটকে দিয়েছিলেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। সমীর ওয়াংখেড়ে সেই সময় ছিলেন শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কালেক্টর। শাহরুখকে দীর্ঘসময় আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু কেন কিং খানকে আটকে রাখা হয়েছিল বিমানবন্দরে। জানা যায়, হল্যান্ড এবং লন্ডন থেকে অতিরিক্ত কেনাকাটা করে ফেলেছিলেন শাহরুখ এবং তাঁর পরিবার। ২০টি ব্যাগ বোঝাই করে জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। নিয়ম ভেঙে পার পাননি স্বয়ং শাহরুখ। দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল তাঁকে।

মাদক- কান্ডে বারবার জড়িয়ে পড়ে তারকারা। এই খবর কতটা সত্য, সেটা আসল কথা নয়। তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে, মাদক সেবনকারীরা অপরাধী নয়, তারা রোগী। ফলে তাদের জেলে নয়, সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো উচিত। বরং মাদক কারবারির সঙ্গে যুক্তরাই মূল অপরাধী, তাদেরই গ্রেফতার করা উচিত। আর কেউ যাতে মাদক আসক্ত না হয়ে পড়ে, তার জন্য মাদক কারবারির চক্রটাই আগে বন্ধ করতে হবে।

মাদক- কান্ডে প্রথমে জানানো হয়েছিল মাত্র ১দিন জেল হেফাজতে রাখা হবে আরিয়ানকে। কিন্তু ছাড় তো দূরের কথা এখনও অবধি জেলবন্দি তিনি। বছর তেইশের তরুণ তুর্কির ভবিষ্যত কি এভাবে শেষ করে দিতে চাইছে বিজেপি? অনেকে তো তেমনটাই মনে করছেন। তবে এই ঘটনার পেছনে বিজেপি যোগ নিঃসন্দেহে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল।

Latest articles

Related articles