নিউজ ডেস্ক : মঙ্গলবার হুগলির শ্রীরামপুর ও চুঁচুড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) দু’টি নির্বাচনী জনসভা বাতিল হওয়ায় ভোটের মাঝেই চরম হতাশ রাজ্যের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় শ্রীরামপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বসুর সমর্থনে প্রথম সভাটি হওয়ার কথা ছিল। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করার পর বহু কষ্টে জোগাড় করা কিছু সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। এক সময় কর্মীরাই বিরক্ত হয়ে নেতাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, আর কতক্ষণ এভাবে গরমের মধ্যে অপেক্ষা করতে হবে?
পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইকে ঘোষণা করা হয়, জেপি নাড্ডা কর্মী সমর্থকদের ভিডিও বার্তা দেবেন। এরপরই সভাস্থল খালি হতে শুরু করলে বিপাকে পড়ে যান বিজেপি (BJP) নেতা-নেত্রীরা। সেই সময় আবারও ঘোষণা করা হয় জেপি নাড্ডা কিছুক্ষণের মধ্যে আসছেন বক্তব্য রাখার জন্য। কিন্তু কর্মীরা সেই ঘোষণায় আর ভরসা রাখতে না পেরে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। এই বিষয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু জানান হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে জেপি নাড্ডা আসতে পারেননি। এরপরই সকলে হতাশ হয়ে মাঠে ছেড়ে চলে যায়। তবে ভিডিও বার্তা কেন দেওয়া হল না? এই প্রশ্নের জবাবে শ্যামলবাবু বলেন, খালি মাঠে তো আর ভিডিও বার্তা দেওয়া যায় না।
আবার চুঁচুড়াতে তার আরো একটি জনসভা বাতিল করা হয় লোক না হওয়ায়। অবশ্য বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে তার দিল্লিতে একটু জরুরি কাজ থাকায় তিনি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এই অবিশ্বাস্য যুক্তি করো বিশ্বাস করানো সম্ভব নয়। কারণ কোথাও কোনো জনসভার আয়োজন করার পর কোনো নেতা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে আবার সেই জনসভা বাতিল করে ফিরে যাবেন। তবে ভোটের মরশুমে বিজেপির এই ফাঁকা ময়দানের ঘনঘটা পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অন্ত তাঁর ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।