
জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের সাহসী যোদ্ধা ঝন্টু আলী শেখ শহীদ হয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার অন্তর্গত পাথর ঘাটা গ্রামের বাসিন্দা এবং বড় আন্দুলিয়া হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। এই বীর সেনানী দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে বাংলার বীর গাঁথার এক অমর ইতিহাস রচনা করেছেন।
এই সেনা অভিযানটি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্র থেকে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুরু হওয়া এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তীব্র গোলাগুলি হয়। প্রাথমিক সংঘর্ষের সময় হাবিলদার ঝন্টু আলী শেখ গুরুতরভাবে আহত হন। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন।
হোয়াইট নাইট কর্পসের জিওসি এবং সমস্ত পদাধিকারীরা এই বীর যোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেছেন, “ঝন্টু আলী শেখের অদম্য সাহস এবং তার দলের বীরত্ব চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবে। আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।” ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই শ্রদ্ধার্ঘ্য বীর শহিদ ঝন্টু আলী শেখের সাহসিকতার প্রতি একটি বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য।
হাবিলদার ঝন্টু আলী শেখের এই বলিদান বাঙালি জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি শুধু একজন সৈনিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের গর্ব, আমাদের প্রেরণা। তার আত্মত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে দেশের সুরক্ষার জন্য কতটা মূল্য দিতে হয়। তার গ্রাম পাথর ঘাটা থেকে শুরু করে গোটা দেশে, তিনি একজন কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন।