নিউজ ডেস্ক : বর্তমান ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো সহ আরও অনেক রাষ্ট্রনেতা এবং কূটনীতিবিদ। কিন্তু, এ বিষয়ে উদাসীন ব্রিটিশ প্রেসিডেন্ট বরিস জনসন।
গতকাল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার এমপি তনমনজিৎ সিং ঢেসি ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে জিজ্ঞাসা করেন, “এ বিষয়ে আপনার কি মতামত”। সে সময়ে বরিস উত্তর দেন “পাক-ভারত দ্বন্দ্ব! একটি দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্ব, এটিতে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোন প্রয়োজন নেই “। বরিসের এই মন্তব্য শুনে এমপি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু না বললেও পরে তিনি টুইট করে বলেন যে, “মুখ খোলার আগে যা বলছি তার সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত জরুরী প্রধানমন্ত্রীর।
পরবর্তীতে ব্রিটিশ প্রেসিডেন্ট বরিস জনসনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন যে “প্রধানমন্ত্রী তখন প্রশ্নটিই ভালো করে শোনেননি এবং তিনি আরো বলেন যে, ভারতের কৃষক বিদ্রোহের উপর নজর রাখছে ব্রিটিশ মন্ত্রক।”
তিনি বলেন যে ,ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে এ আলোচনাটি সর্বপ্রথম। তাই এটিকে অতটা খেয়াল করতে পারেননি বরিস জনসন। তাছাড়া, গত সপ্তাহেই ব্রিটিশের বিদেশমন্ত্রক বলে দিয়েছে যে ,”কৃষক বিদ্রোহ ভারতের একটি আভ্যন্তরীণ বিষয়, এটিতে কোন মন্তব্য করবেন না তারা।”
তবে বরিস জনসনের এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানা না থাকলেও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, কূটনীতিবিদ এবং আইন প্রণেতারা ভারতের চলমান কৃষক বিদ্রোহ সম্পর্কে তাদের মতামত দিতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য কানাডার রাষ্ট্রপতি জাস্টিন ট্রুডো,যিনি কৃষক বিদ্রোহের সমর্থন করায় ভারতবর্ষের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। কিন্তু জাস্টিন ট্রুডো তার জবাবে বলেন কানাডা সর্বদা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের স্বপক্ষে অবস্থান করবে এবং পৃথিবীর যে প্রান্তেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে তার বিরুদ্ধে কথা বলবে।