সিবিআই সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে বিজেপি নেতা অরুণ হাজরার নাম উঠে এসেছে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে অরুণ হাজরা অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে সরবরাহ করতেন এবং তারা সেই অযোগ্য ক্যানডিডেটদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌথভাবে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা তুলেছেন।
তদন্তে আরও জানা গেছে, অরুণ হাজরা শুধুমাত্র প্রাথমিক নিয়োগ নয়, এসএসসি, রেলসহ বিভিন্ন বিভাগে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ‘কালীঘাটের কাকু’ নামে পরিচিত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর পকেটে যেত।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আগেই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, এই প্রথমবার অরুণ হাজরার নাম উঠে এসেছে। উত্তর কলকাতার এই বিজেপি নেতা একসময় কংগ্রেসে ছিলেন, পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং এরপর তাপস রায়ের সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেন। তার নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোর ফলে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এবং দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন। পরে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পান এবং বর্তমানে বেহালায় নিজের বাড়িতে আছেন। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার চার্জশিট জমা পড়ে।