একদিনে দেশে সর্বনিম্ন সংক্রমণ ৫ মাসে, কমল দৈনিক মৃত্যুও

নয়া দিল্লি: দেশে করোনায় ফের ৩০ হাজারের নীচে নামল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক মৃত্যু। প্রায় ৫ মাস পর অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও নামল ৩ লক্ষের নীচে। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে আশঙ্কার বার্তাও। দেশে আসতে চলেছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। অক্টোবরেই তুঙ্গে পৌঁছবে সংক্রমণ।প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে দেওয়া সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানাল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট NIDM।

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৭২ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৯।  দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৫৬ জন।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩০৬ জন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯২৪।

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৯৪৮ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল  ৪০৩।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৪৫৭ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৭৫।

 

এরইমধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৬২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ১৫৭ জন সুস্থ হয়েছেন।  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে ২২ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৫০ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৯৯টি করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত একদিনে দেশে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৬০টি।

 

নীতি আয়োগ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরেই করোনা সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে এবং দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা  ৪ থেকে পাঁচ লক্ষ হয়ে যেতে পারে। আর এরমধ্যে প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হতে পারে। নীতি আয়োগ বলেছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই লক্ষ আইসিইউ বেড প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও ১.২ লক্ষ ভেন্টিলেটর যুক্ত আইসিইউ বেড এবং সাত লক্ষ অক্সিজেনের সরবরাহের সুবিধাযুক্ত বেড ও ১০ লক্ষ কোভিড আইসোলেশন কেয়ার বেড থাকা দরকার।

 

Latest articles

Related articles