২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে লাগাতার ত্রিপুরায় দাঁত ফোটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তাদের এই পথে ‘কাঁটা’ বিছিয়ে রেখেছে বিপ্লব দেব প্রশাসন। তৃণমূলের সমীক্ষক সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যরা ত্রিপুরায় পা রাখার পর থেকেই যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা কোনও ভাবেই থামার নাম নিচ্ছে না। উত্তরোত্তর তা বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে জল্পনা বাড়ালেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। গত কয়েকদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজের সমর্থন তিনি এগিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের দিকে।
মানিকবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ও তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে সময় সংগঠনের দায়িত্বে থাকা মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংগঠনের রাশ আগলা হয়ে যায়। সেই সময়ের কথা মনে করে মানিক সরকার বলছেন, “হয়তো আগেরবার ওরা ভাল ফল করতে পারেনি। কিন্তু তা বলে কখনও বাধাপ্রাপ্ত হয়নি।” সাম্প্রতিক সময় তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদদের উপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ত্রিপুরায় বিজেপিকে সরাতে সিপিএম কর্মীদের দলে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। যদিও সিপিএম নেতা পবিত্র কর এই আবেদনকে অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন, এধরণের কোনও সম্ভাবনাই নেই। এদিকে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীও তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন। বিজেপি মুখপত্র সুব্রত চক্রবর্তীর দাবি, ত্রিপুরায় কোনও খেলাই হয়নি তৃণমূলের। খেলা নয়, অশান্তি সৃষ্টি করতে এসেছে তৃণমূল। যা সর্বত্র প্রতিরোধ করা হবে। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় নিজেদের অস্বিত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া তৃণমূল। বিজেপির তরফে বারবার আঘাত হানা হলেও পিছু হটতে নারাজ ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা।