
যাদবপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়তে ওয়েবকুপার এক অনুষ্ঠানে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী-সহ অন্যান্য তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকরাও বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে আক্রান্ত হন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সেই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কাতে গুরুতর আহত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র।
স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে এই বিক্ষোভের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই আঙুল তুলেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের দিকে। ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের বহু জায়গায় যেমন যাদবপুর, বারুইপুর, মেদিনীপুর-সহ অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল-বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছে বামপন্থীরা, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের পার্টি অফিস। এবার বিষয় হল, বর্তমানে বিধানসভায় সিপিএমের আসনসংখ্যা শূন্য! তৃণমূল-বিজেপি উভয়েরই মতে, রাজ্য-রাজনীতি ও ভোটবাক্সে বর্তমানে বামপন্থীরা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। তাদের বক্তব্য, আগামী দিনগুলোতেও নির্বাচনে শূন্য থাকবে বামপন্থীরা! অথচ, তাদেরই দাবি যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো ক্ষমতা ধরে রেখেছে বামপন্থী ছাত্ররা, তাদের মুছে ফেলতে দেওয়া হচ্ছে সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো নিদান!
এদিকে, চারদিক দিয়ে তৃণমূল-বিজেপির লাগাতার যৌথ আক্রমণই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে তারা উভয়ই বামপন্থীদের মূল প্রতিপক্ষ-শক্তি বলে মনে করে। মার খেয়ে, মাটি আঁকড়ে, লড়াইয়ের ময়দানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যে আসলে বামপন্থীরাই, ঘটনার প্রবাহ সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত।