
আজ থেকে শিক্ষকরা বিক্ষোভের ঝাঁঝ তীব্র করে, বসতে চলেছে অনশনে
অধিকারের চাকরির দাবিতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কসবায় বেধড়ক মার খেতে হল নিয়োগ দুর্নীতিতে সদ্য চাকরিহারা কিছু সৎ শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
কাদের কাছে মার খেলেন তারা? সমাজে আইনের রক্ষক পুলিশের কাছে। রক্ষক যখন ভক্ষকে পরিণত হয় তার পরিণতি কি হয় তা হয়তো সকলেরই জানা। এও কি তাই উঠছে প্রশ্ন? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আশ্বাসন দিলেন! তিনি নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে বললেন, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা কখনোই বঞ্চিত হবেন না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী দুজনেই একই ব্যক্তি। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি এবং পুলিশ মন্ত্রীর কার্যকলাপের মধ্যে কোন মিল নেই কেন? উঠছে প্রশ্ন।

বুধবারের দৃশ্য দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সান্ত্বনায় এখনো পর্যন্ত আশ্বস্ত হতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অপরদিকে এও স্পষ্টত দৃশ্যমান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকলাপের কোন মিল নেই। বুধবার কসবায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে শিক্ষকদের কপালে জোটে প্রশাসনের লাঠির বাড়ি। শুধু তাই নয় পুলিশের এলোপাথাড়ি বেপরোয়া ঘুষি লাথিতে জখম হন বেশ কিছু শিক্ষক। পুলিশে নির্যাতন থেকে বাদ জান না শিক্ষিকারাও।
বুধবার পুলিশের হাতে মার খাওয়া এক শিক্ষক, নাম অমিত রঞ্জন ভূইয়া এনবিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া আশ্বাসনে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের দাবি, যোগ্য এবং অযোগ্যদের অবিলম্বে পৃথক করতে হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের অবিলম্বে অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।” শিক্ষক অমিত রঞ্জন ভূইয়া জানিয়েছেন, তিনি কেওড়াবালী নকুল সহদেব হাইস্কুলে বহুদিন ধরে শিক্ষকতা করতেন।
সারারাত এসএসসি ভবনের সামনে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার ডাক দেওয়া হয় মহা মিছিলের। শুক্রবার থেকে অনশনে বসতে চলেছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।