থানায় ডিজে! অনাথকে বিয়ে দিলেন পুলিশ আধিকারিকেরা

গোলাম হাবিব, মালদা, এনবিটিভি: চিরাচরিত আমরা দেখে আসছি পুলিশের কাজ সমাজের অপকর্মের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের ধরে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু এবারে অভিবাবকত্বের নজির গড়লেন মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। বিয়ে দিলেন বাবা, মা মৃত অনাথ যুবতীর। পুলিশ আধিকারিকেরা দাঁড়িয়ে থেকে হরিশচন্দ্রপুর থানায় ব্যান্ড বাজিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে দিলেন ওই যুবতীর সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম দেবী সিং ওরফে সোনা(২৩)। তার  সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা শঙ্কর সাহানির। দুজনের আলাপ হয় মালদার কুমেদপুর এলাকার মাখনার ফাঁড়িতে। এরপর ওই যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এই সুযোগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার সহবাস করে ওই যুবক।

 এরপর ওই যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে। তারপর ওই যুবতী কুমেদপুর  পুলিশ ফাঁড়িতে ওই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় নিয়ে আসা হয় অভিযুক্ত যুবককে। তারপর ওই যুবকের সাথে কথা বলে পুলিশ আধিকারিকদের উদ্যোগে ব্যান্ড বাজিয়ে মালা বদল করে বিয়ে দেওয়া হয় দুইজনের। এরপর স্থানীয় এক মন্দিরের গিয়ে  হিন্দু মতে বিবাহ দেওয়া হয় দুইজনের। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামের লোকজন।

হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাশ জানান, “ওই যুবতী কিছুদিন আগে কাঁদতে কাঁদতে এসে থানায় অভিযোগ করে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। তারপরই সকলের উদ্যোগে ওই যুবতীর বিয়ের  ব্যবস্থা করা হয়।”  

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, “ছেলেটি এবং মেয়েটি একসাথে থাকত। কিন্তু ছেলেটি ওকে বিয়ে করতে রাজি ছিলনা। মেয়েটির বাবা মা নেই। কিন্তু পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে পুরো ঘটনার যেভাবে সমাধান করলেন তা প্রশংসনীয়।”

বিস্তারিত দেখতে…………………

পুলিশ গোটা ঘটনার যেভাবে সমাধান করলেন এবং পুলিশের এই অভিভাবক রূপ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ গ্রামবাসীরা।

Latest articles

Related articles